চুয়াডাঙ্গায় সহকর্মী উত্যক্তের শিকার হয়ে এক শিক্ষিকা আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মৃত সোনিয়া খাতুন (২৫) আঠারখোদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ও সৌদি আরব প্রবাসী নাজমুল ইসলামের স্ত্রী।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত শাকিল হোসেনও একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং একই গ্রামের মঙ্গল আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার কামালপুর গ্রামে নিজ বাড়ির ছাদের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সোনিয়া।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, পাঁচ মাস আগে সোনিয়ার স্বামী সৌদি আরব যাওয়ার পর থেকে পাঁচ মাসের শিশুকে নিয়ে ওই বাড়িতেই থাকতেন তিনি।
তিনি বলেন, “স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত শাকিল দীর্ঘদিন সোনিয়াকে উত্যক্ত করে আসছিল। এমনকি কিছুদিন আগে সোনিয়ার সঙ্গে পরকীয়া আছে এমন গুজব ছড়িয়ে মানহানি করার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে এসব হয়রানি আর সহ্য করতে না পেরে সোনিয়া আত্মহত্যা করেন।”
ওসি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোনিয়ার বাবা সাকির উদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানায় শাকিলসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।