কক্সবাজারের চকরিয়ায় চাচাকে অপহরণের পর গলা কেটে হত্যা মামলায় তিন ভাতিজাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৬ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোজাম্মেল হক এ রায় দেন। নিহত চাচা নূরুল হুদা চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চকরিয়া থানার বদরখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মগনামাপাড়ার বাসিন্দা আবু বক্কর ছিদ্দিক, ইউনুছ মানিক ও ইব্রাহিম মোস্তাফা কাইয়ুম।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হলেন- একই এলাকার বাসিন্দা মো. সোহায়েত। খালাস পেয়েছেন সাফায়াত নামে একজন। দণ্ডিতদের মধ্যে আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক ছাড়া বাকিরা পলাতক।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি আইয়ুব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০১৬ সালের ৩০ জুন বদরখালী বাজারের চায়ের দোকানে বসে টিভি দেখছিলেন নূরুল হুদা। এ সময় টিভির খবর দেখে তিনি “একে একে সব রাজাকারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে” বলে মন্তব্য করেন। এ মন্তব্য শুনে আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। পরে অন্য আসামিদের নিয়ে অটোরিকশায় করে তাকে অপহরণের পর গলা কেটে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ২ জুলাই চকরিয়া থানায় মামলা করেন নিহতের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান। ১৩ জনের সাক্ষ্য শেষে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত রায় দেন।