দামের সামান্য হেরফের হলেও বর্তমানে দেশে সারের কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার (৭ মার্চ) সচিবালয়ে ঢাকায় আয়োজিত এফএও'র ৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “এ মুহূর্তে সারের কোনো ঘাটতি নেই। সার নিয়ে কৃষকদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। কোনো কারণে দাম একটু এদিক-সেদিক থাকতে পারে। তবে আমি বলতে পারি, আমাদের সারের কোনো ঘাটতি নেই।
মঙ্গলবার থেকে ৪ দিনব্যাপী ঢাকায় আয়োজিত এফএও'র ৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন শুরুর কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “৮ থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত সম্মেলন চলবে। এটি বাংলাদেশের জন্য গৌরবের। করোনাভাইরাসের কারণে এবার হাইব্রিড ফরম্যাটে (সরাসরি ও ভার্চুয়াল) এ সম্মেলন হবে। ইতোমধ্যে এতে অংশ নিতে ৪৩টি সদস্য রাষ্ট্র, এফএওর মহাপরিচালক, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির ৯০০ জন প্রতিনিধি নিবন্ধন করেছেন।”
এছাড়া, সম্মেলনে সদস্য দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের ৪২ জন সম্মানিত সদস্যও অংশ নেবেন বলেও জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, “করোনাভাইরাসের মধ্যে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে খাদ্য ও কৃষির বর্তমান অবস্থা, এ অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে করণীয়, এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইন ডিজিটালাইজেশন ত্বরান্বিতকরণ, ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচে গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার চিহ্নিতকরণ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সম্মিলিত বিনিয়োগ নিয়ে এবারের সম্মেলনে আলোচনার বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সম্মেলনটিকে সফলভাবে আয়োজনের মাধ্যমে আমরা নিজেদের সক্ষমতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই। যাতে করে ভবিষ্যতে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশে সম্মেলন আয়োজনে আগ্রহী হয়।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। সম্মেলনের প্রথম দুইদিন অর্থাৎ ৮ ও ৯ মার্চ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কৃষি সচিব ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের শেষ দুই দিন অর্থাৎ ১০ ও ১১ মার্চ কৃষিমন্ত্রী পর্যায়ের সভা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হবে।