বকেয়া বাড়ি ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ঢাকার সাভারে জাতীয় জুডো দলের খেলোয়াড় সুমাইয়া আক্তারকে (১৬) মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জামগড়া মোল্লা বাড়ি এলাকার শফিকুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সুমাইয়া ২০১৯ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ পদক জিতেছেন। তিনি বর্তমানে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা সপরিবারে শফিকুল ইসলামের ভাড়া থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানার সমুরচুরা গ্রামে।
বাংলাদেশ জুডো ফেডারেশনের খেলোয়াড় সুমাইয়ার অভিযোগ, “সামনে আমার এসএসসি পরীক্ষা। আমার বাবা, মা ও ভাই জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তবে আমি ন্যাশনাল ফেডারেশনেই থাকি আমি। দুই-তিন দিন আগে এসেছি আম্মুর সঙ্গে থাকব বলে।”
তিনি আরও বলেন, “ঘটনার দিন (মঙ্গলবার) রাতে আমি পড়াশোনা করছিলাম। তখন বাড়ি মালিকের স্ত্রী বাসায় এসে বকেয়া ভাড়ার জন্য উচ্চবাচ্য করছিলেন। দুই-তিন মাসের বাড়ি ভাড়া পেতেন তারা। আমি বলেছি, যা পান দিয়ে দেবো। তখন আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উনি (বাড়িওয়ালার স্ত্রী) আমাকে চড় মারেন। আমিও তাকে পাল্টা চড় দেই। এরপর উনি তখন ওনার স্বামী শফিকুল ও ছেলে হৃদয়কে ডেকে এনে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। আমার আম্মু বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।”
অভিযুক্ত বাড়ি মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমার বাড়ির নিচতলায় দুই রুমের ফ্ল্যাট নিয়ে সুমাইয়ার পরিবার ভাড়া থাকে। তাদের কাছে ৪০ হাজার টাকা ভাড়া পাওনা ছিল। গত মাসে ৬ হাজার টাকা দেয় তারা। আর তিন মাস আগে বাসা ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলেছিল। কিন্তু এই মাস শেষেও বাসা ছাড়েনি। আমি বাসা আরেক ভাড়াটিয়াকে দিয়েছি। তারা অন্য জায়গায় বাসা ছেড়ে দিয়েছে এখানে উঠবে বলে। তাই আমার স্ত্রী রাতে ওদের বাসায় যায়। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ভাড়াটিয়ার মেয়ে আমার স্ত্রীকে মারধর করে।”
সুমাইয়া কীভাবে রক্তাক্ত হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ঘরের ভেতর খাট আছে, কতকিছু আছে। এখন কিসে লেগেছে কীভাবে বলব?”
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) তানিম আহমেদ বলেন, “রাতে এক নারী রক্তাক্ত অবস্থায় এসেছিলেন। তাকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”