আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে ভর্তুকি মূল্যে নিম্ম আয়ের এক কোটি পরিবারের মধ্যে টিসিবি পণ্য সরবরাহ কার্যক্রমের সরকারি উদ্যোগের প্রথম দিনেই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (গাসিক) ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলররের বিরুদ্ধে কালোবাজারে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছ
রবিবার (২০ মার্চ) রাতে কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে বিক্রি হওয়া টিসিবি পণ্য স্থানীয় বোর্ড বাজারে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে (জিএমপি'র) গাছা থানা পুলিশ। এসময় টিসিবি পণ্যের ক্রেতা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন জানান, রবিবার দিবাগত রাত ১১টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহর খান ওয়াকফ্ স্ট্যাট মার্কেটে (বোর্ড বাজার) সাব্বির-শাহীনের গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। এসময় টিসিবির মোড়কযুক্ত ৩৭ বোতল তেল (৭৪ লিটার), ৩৭ প্যাকেট চিনি ও ৩৭ প্যাকেট ডাল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যবসায়ী শাহীন জানান, স্থানীয় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডলের ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম ও অফিস সহায়ক রফিক এসব পণ্য তার কাছে বিক্রি করেছেন। কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে তার কাছে দুই লিটারের প্রতি বোতল সয়াবিন তেল ৩০০ টাকা করে (প্রতি লিটার ১৫০ টাকা দরে), ৬০ টাকা কেজি দরে চিনি ও ৭০ টাকা কেজি দরে মসুর ডাল বিক্রি করা হয়েছে। আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছেও এসব পণ্য বিক্রি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, টিসিবি’র নির্ধারিত কার্ডধারী অনেক পরিবার রবিবার প্রথম দিনেই পণ্য না পেয়ে কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে ফিরে গেছেন।
তাদের অভিযোগ, রবিবার লোক দেখানোর জন্য কিছু পণ্য কাউন্সিলরের পছন্দের কার্ডধারী লোকজনের মধ্যে বিতরণ করা হয়। বাকি পণ্য বিকেলে ট্রাক থেকে নামিয়ে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের নিচতলায় গোডাউনে রাখা হয়। পরে এসব পণ্য কাউন্সিলররের নিজস্ব লোকজন কালোবাজারে বিক্রি করে দেন। রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এসব পণ্য স্থানান্তর করা হয়। এসময় কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল তার কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। কাউন্সিলর কার্যালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করলে এর প্রমাণ মিলবে বলে সূত্রের দাবি।
এ ব্যাপারে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন কালোবাজারে বিক্রি হওয়া টিসিবি পণ্য উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “আমরা বেশ কিছু পণ্য উদ্ধার ও সংশ্লিষ্ট একজন ব্যবসায়ীকে আটক করেছি। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”