রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রোটেকশন বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল নাজমুল তারেকের হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। এর সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে কপালে টিপ পরা নিয়ে হেনস্তা করা হয়েছিল কি না তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি তারা।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও কিছু বিষয়ে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। আরও ২/১ দিন সময় লাগতে পারে। বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তদন্তে কমিটি নিশ্চিত হয়েছে যে সেদিন কনস্টেবল তারেক ও শিক্ষিকার মধ্যে তর্কাতর্কি হয়েছিল। তবে সেটি উল্টো পথে মোটরসাইকেল নিয়ে চালানো নিয়ে।
তিনি আরও জানান, উল্টো পথে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে কনস্টেবল তারেককে ডাক দেন লতা। “পুলিশের লোক হয়েও উল্টো পথে দিয়ে কেন মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন”, এমন জানতে চান তিনি। এতেই তাদের মধ্যে তর্কাতর্কির সৃষ্টি হয়।
তিনি জানান, অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি দুই জনই জিজ্ঞাসাবাদে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলেছেন। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আরও দুই একদিন সময় লাগতে পারে।
এর আগে ২ এপ্রিল সকালে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় প্রভাষক ডক্টর লতা সমাদ্দারকে পুলিশের পোশাক পরা একজন ব্যক্তি “টিপ পরছোস কেন” বলে কটূক্তি করেন। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন লতা সমাদ্দার।
সেই অভিযোগে লতা সমাদ্দার বলেন, “আমি ঠিক পেছনে তাকিয়ে দেখি, একজন পুলিশ একটা বাইকের ওপর বসে আছে। আমি তার প্রতিবাদ করলে সে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে সে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে আমার শরীরের ওপর চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি সটকে যাই, কিন্তু তার বাইরের চাপা আমার পায়ে লাগে। আমার পা ইনজ্যুরড (আহত)।”
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়। অনেকেই এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নিজের টিপ পরা ছবি পোস্ট করা শুরু করেন।