ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে প্রায়ই সর্বস্ব হারানোর খবর সামনে আসে। ছিনতাইকারীরা শুধু মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়েই ক্ষান্ত হয় না, হামলা করে বসে বিভিন্ন উপায়ে। এসব অপরাধীদের লক্ষ্যবস্তু হতে পারেন যে কেউ। তাই সবাই চান ছিনতাইপ্রবণ এলাকা এড়িয়ে চলতে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম থামাতে ব্যর্থ। গত মাসেই ঢাকার গুলিস্তানে ছিনতাইকারীদের হাতে আহত হন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তাই অতিরিক্ত ছিনতাই ও চাঁদাবাজি হয় ঢাকার এমন ১৫টি এলাকা চিহ্নিত করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এলাকাগুলো হলো- খিলগাঁও, মালিবাগ রেলগেইট, দৈনিক বাংলা মোড়, পীরজঙ্গি মাজার ক্রসিং, কমলাপুর বটতলা, মতিঝিল কালভার্ট রোড, নাসিরের টেক হাতিরঝিল, শাহবাগ, গুলবাগ, রাজউক ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং পল্টন মোড়, গোলাপ শাহর মাজার ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, আব্দুল গণি রোড, মানিকনগর স্টেডিয়ামের সামনে, নন্দীপাড়া ব্রিজ ও বাসাবো ক্রসিং। এসব এলাকায় সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেশি দেখা যায় বলে জানিয়েছে র্যাব।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘‘চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী চক্রের’’ ৫৩ জন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের অপরাধের চিত্র তুলে ধরে র্যাব।
বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, রোজা ও ঈদ ঘিরে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। চাঁদা না পেলে পণ্য পরিবহন ও বিক্রিতে বাধাও দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি ঢাকার রমনা, খিলগাঁও, হাতিরঝিল, শাহজাহানপুর, পল্টন ও ওয়ারী এলাকায় একযোগে অভিযান চালিয়ে ৩৩ জন চাঁদাবাজ এবং ২০ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে।
তারা হলেন- মো. আওয়াল (৪৫), মো. আতিক (৩৫), মো. আলাউদ্দিন (৪৫), মো. ইসমাইল (৫৪), মো. জুয়েল (৪৩), মো. দুলাল (৪৫), মো. বদির উদ্দিন বাবু (৫০), মো. বাবুল (৫২), মো. বাবুল হাওলাদার (৪৯), মো. মোস্তফা হাওলাদার (৫০), মো. সাহেব আলী (৫৪), মো. তানভির (৪০),মো. জালাল হোসেন (৩০), নিয়ামুল হোসেন (২৯), মো. ময়নুল হোসেন (৪৫), মিন্টু খান (২৫), মো. মেনু মিয়া (৩৮), মো. রনি (৩১), মো. রানা(২৪), মো. শরীফ সরকার (৩৫), মো. মহসীন (২৫), রনজিৎ দাস (৪৮), রাসেল শিকদার (২১), মো. হারেজ (৪৩)।
এছাড়া মো. বাদশা (২৯), আল আমীন সর্দার (২০), মো. শহীদ (২৭), মো. রাজু (৩৫), মো. রফিক (২৫), মো. রোমান (৪২), মো. আকবর (২০), ইমন (১৯), রাব্বি (১৯), মো হৃদয় (১৯), মো. হোসেন (১৯), মো. আল আমিন (২২), মো. ইসমাইল হোসেন (২২), নাইমুল ইসলাম মিশু (২৫), মো. নুরুল হক (২৫), মো. রতন (২২), রাব্বি (১৯), মো. শফিকুল ইসলাম (২৪), মো. সাগর হোসেন শামীম (২০), উজ্জল মিয়া (২০), মো. আক্কাছ (৫০), মো. ইউছুফ (৩২), মো. জাহিদ (৪৪), মুন্সি মুছা আহমেদ (৫২), মো. রবিন মিয়া (৩২), মো. সাগর (২৭), মো. সুজন (৪৫), মো সোহাগ মৃধা (৩২), ও সোহেল সরকার (৩১) আছেন গ্রেপ্তারদের মধ্যে।
গ্রেপ্তারের সময় এসব অভিযুক্তের কাছ থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৩০ টাকা, ৬০টি মোবাইল, ও ৪৫টি দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।