ঘুষ বাণিজ্য, নির্যাতন, ক্রসফায়ারের হুমকিসহ সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর সাতক্ষীরা পৌর মেয়রের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) এ আদেশ জারি হয়।
সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “পৌরসভায় কাজী বিরাজ হোসেন নামের অস্থায়ী এক কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা ঘুষ নেন নাজিম। কিন্তু তার চাকরি স্থায়ী হয়নি। এছাড়া কর্মচারীদের অহেতুক হয়রানির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।”
আরও পড়ুন- এখনও ‘ক্রসফায়ারে’র হুমকি দেন সাংবাদিক পেটানো আরডিসি নাজিম উদ্দিন
পৌরসভার পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়। অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে।
নাজিমের কর্মকাণ্ডের ভুক্তভোগী সাতক্ষীরা পৌরসভার চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী আরিফুর রহমান খাঁন বাপী বলেন, “বিনা নোটিশে আমিসহ সাতজন কর্মচারীকে চাকরি থেকে অপসারণ করেছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, তিনি আমাদের পৌরসভা চত্বরে দেখলে গুলি করে মারারও হুমকি দিয়েছেন।”
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস জানান, পৌরসভার মেয়র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন। তবে সেটির তদন্ত নির্দেশনার বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “নাজিমউদ্দীনের তদন্তের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সোমবার চিঠি পেয়েছি। অচিরেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।”
২০২০ সালের ২০ মার্চ কুড়িগ্রামে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মাঝরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে হয়রানি করেন তৎকালীন আরডিসি নাজিম উদ্দিন। এ ঘটনায় বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে তার বেতনক্রম ষষ্ঠ থেকে সপ্তমে নামিয়ে আনে সরকার।