ফরিদপুরের টেপাখোলা লেককে বিশ্বমানের একটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। ২১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ফরিদপুর টেপাখোলা রিসোর্ট’ নামেরএই বিনোদন কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে আগামী বছরের মাঝামাঝিতে।
ফরিদপুর এলজিইডি সূত্র জানায়, সদর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের উদ্যোগে এলজিআইআইপি-৩ প্রকল্পের আওতায় আধুনিক এই টেপাখোলা রিসোর্ট নির্মাণ করা হবে। গত ৪ নভেম্বর একনেক বৈঠকে প্রকল্পটি পাশ করা হয়েছে।
টেপাখোলা রিসোর্টটিতে থাকছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, টেপাখোল রিসোর্ট, স্কুল ব্লক, জিমনেসিয়াম, মসজিদ, রিসোর্ট সেন্টার, ভিকটোরি মিউজিয়াম, ভিকটোরি কমপ্লেক্স, ওয়ান্ডার হুইল, ফুড কোড, সিনিয়র সিটিজেন কর্নার, আর্ট এন্ড ক্রাফ্ট সেন্টার, চিল্ড্রেন ওয়াটার গেইম, চিল্ড্রেন সুইমিংপুল, টেপা ক্যাফে ও হল, অ্যামিপথিয়েটার, বোর্ট ল্যান্ডিং ক্যাফে ও বঙ্গবন্ধু ইনডেক্স ফিঙ্গার টাওয়ার।
ফরিদপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নূর হোসেন ভূঞা ইউএনবিকে বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর নির্দেশে তিনজন প্রকৌশলী টেপাখোলা লেক রিসোর্টটির বিশ্বমানের একটি ডিজাইন করেছেন। একনেকেও পাশ হয়েছে সেটি। এখন স্ট্রাকচারাল ডিজাইন শেষ হলে আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে।
নূর হোসেন আরও বলেন, বিশাল এই প্রকল্পের বড় আকর্ষণ এখানে ৩২০ ফুট উচ্চতার বঙ্গবন্ধু ইনডেক্স ফিঙ্গার টাওয়ার। যার মধ্যে দুটি লিফট ও বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ থাকবে। তিন বছরের মধ্যে পুরো কাজটি শেষ করা সম্ভব হবে। হাতেকলমে কাজ শুরু করতে গেলে কিছু সংযোজন বিয়োজন হতে পারে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা বলেন, ফরিদপুর জেলাবাসী দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল এই লেকটিকে আধুনিকায়ন করার। সরকার সেটি করছে। সরকারও স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ায়।
ফরিদপুরে চেম্বার অব কমার্স এর সিনিয়র সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, এই প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হলে ফরিদপুরের চেহারা আরও আধুনিক হবে।