নরসিংদীতে পলাশ উপজেলায় শিক্ষার্থীদের পাইপ দিয়ে পিটিয়ে জখমের অভিযোগে পলাশ থানা সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে ।
মঙ্গলবার (১০ মে) নরসিংদী জেলা শিক্ষা অফিসার গৌতম চন্দ্র মিত্র ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, সোমবার কলেজের শ্রেণিকক্ষে ১৬ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এ বিষয়ে নরসিংদী জেলা শিক্ষা অফিসার গৌতম চন্দ্র মিত্র জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। নিশ্চিত হওয়ার পর পরই কলেজের অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিদিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে ৬টি বিষয়ে পাঠদান হয়। রবিবার ৬ষ্ঠ ক্লাসের শিক্ষক পাঠদান করবে না, এমন খবরে অধিকাংশ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়। তবে শিক্ষক ক্লাসে এলে কয়েকজন শিক্ষার্থী পাঠদানে যুক্ত হয়।
এরপর, সোমবার যথারীতি সকল শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়।দুপুর ১২টার দিকে কলেজের অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজী এ্যালুমিনিয়ামের পাইপ নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে ৬ষ্ঠ ক্লাস না করা শিক্ষার্থীদের দাঁড় করান।এরপর একে একে ১৬ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অধ্যক্ষের বিচারের দাবিতে বিকেলে পলাশের খানেপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অধ্যক্ষকে আটক করে পুলিশ।
পরে মঙ্গলবার মুচলেকা নিয়ে অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “আমি শিক্ষার্থীদের শাসন করেছি। এখন কেউ কেউ এটাকে ইস্যু বানিয়ে পরিবেশ ঘোলা করার চেষ্টা করছে।”