Friday, April 18, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

ছাদ থেকে পড়ে নিহত জাবি ছাত্রের কক্ষে মিললো `সুইসাইড নোট'

অমিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন

আপডেট : ১১ মে ২০২২, ১১:২৪ এএম

আবাসিক হলের ছাদ থেকে পড়ে নিহত অমিত কুমার বিশ্বাস নামের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলের শিক্ষার্থীর কক্ষে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। সুইসাইড নোট পাওয়ার পর অনেক শিক্ষার্থীর ধারণা, অমিত আত্মহত্যা করেছে। সুইসাইড নোটটির সত্যতা যাচাইয়ে কাজ করছে পুলিশ।

অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে মৃত্যু হওয়ার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে অমিতের রুমমেটরা তার বিছানার বালিশের নিচে সুইসাইড নোটটি পান।

সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার মস্তিষ্কই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমি নিজেই নিজের শত্রু হয়ে পড়েছি অজান্তেই। নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। আর না। এবার মুক্তি চাই।”

অমিত কিছু নিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন কি-না, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। তার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও সুইসাইড নোট পাওয়ার পর তা আর নিতে দেওয়া হয়নি। বর্তমানে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

সুইসাইড নোটটি পাওয়ার পর শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সোহেল আহমেদ অমিতের কক্ষে গিয়ে সেটি দেখেন। অমিতের খাতায় থাকা হাতের লেখার সঙ্গে সুইসাইড নোটের লেখাটির মিল দেখতে পান।

পরবর্তীতে সোহেল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাথমিকভাবে নোটের লেখার সঙ্গে তার খাতার লেখার মিল রয়েছে। আমরা আপাতত রুম বন্ধ করে রেখেছি। পুলিশ এসে বাকিটুকু দেখবে।”

রাত সাড়ে ১১টায় আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল ওই হলে অমিতের ৩২৫ নম্বর কক্ষে উপস্থিত হয়। তারা অমিতের দুই রুমমেটের কাছ থেকে কিছু তথ্য নেন। পরে হল প্রাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে অমিতের দুটি ফোন, দুটি খাতা ও সুইসাইড নোট তদন্তের জন্য নিয়ে যান।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক জিয়াউল ইসলাম (তদন্ত) সাংবাদিকদের বলেন, “তদন্তের কাজ মাত্র শুরু হল। তদন্তের জন্য দুটি মোবাইল, দুটি খাতা ও সুইসাইড নোট নিয়েছি। যদি আরও কিছু প্রয়োজন হয় পরে নেব।”

লাশের ময়নাতদন্ত হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে এখনও বলা যাচ্ছে না।”

অমিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের (২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি খুলনায়। বাবা অজয় কুমার বিশ্বাস বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে কর্মরত আছেন। তিনি পরিবারের একমাত্র সন্তান। 



শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বৃষ্টিতে ভিজতে হলের ছাদে গিয়েছিল অমিত। এরপর তাকে অজ্ঞান অবস্থায় নিচে পাওয়া যায়। হারান অমিত। প্রথমে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

   

About

Popular Links

x