পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে ইতি বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী আব্দুস জলিলের (৩২) বিরুদ্ধে। নিহত ইতি বেগম এলাকার আব্দুল মান্নান খানের মেয়ে। এক সপ্তাহ আগে তিনি স্বামী জলিলকে তালাক দেওয়ার ঘোষণা দেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাতে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের উত্তর পাঙ্গাশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জলিল কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরে, পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অবস্থায় অবনতি ঘটায় শুক্রবার তাকে ঢাকায় আনার পথে সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ইতি বেগমের বড় ভাই ফারুক খান জানান, ইতি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। প্রায় সাত বছর আগে ঢাকায় থাকা অবস্থায় জলিলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে পাঙ্গাশিয়া গ্রামে চলে আসেন তারা। তাদের একটি ছেলে রয়েছে।
প্রথম দিকে ভালো থাকলেও দুই বছর আগে যৌতুকের দাবিতে ইতিকে মারধর শুরু করে জলিল। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এক সপ্তাহ আগে জলিলকে তালাক দেওয়ার ঘোষণা দেন ইতি। তালাকের নোটিশ পেয়ে জলিল ইতিকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেন।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে জলিল আমাদের বাড়িতে আসে এবং আলোচনার কথা বলে ইতির বেডরুমে যায়, একটু পরেই সে ইতির শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।”
মৃত্যুর আগে জলিল তার শরীরে আগুন দিয়েছে বলে ইতি বলে গেছে বলে তার ভাই জানান।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, লাশ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ময়নাতদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।