সাতক্ষীরার দেবহাটায় স্ত্রীর তালাক নোটিশ পেয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বশুরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।বুধবার (২২ জুন) ভোররাতে উপজলার মাটিকুমড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজগর আলী সরদার (৫৫) পেশায় একজন কৃষক। অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কালীগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বরয়া গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের ছোট ভাই আক্তার হোসেন সরদার জানান, তার বড়ভাই আজগর আলীর ছোট মেয়ে শিল্পী খাতুনের সঙ্গে সালাউদ্দিনের দুই বছর আগে বিয়ে হয়। সালাউদ্দিন বেকার হওয়ায় বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে শিল্পীকে প্রায়ই নির্যাতন করত। এ নিয়ে কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। এরপরও নির্যাতন বন্ধ না হওয়ায় ১০ দিন আগে শিল্পীকে বাড়িতে এনে সালাউদ্দিনের ঠিকানায় তালাকনামা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় সালাহউদ্দিন। গত রবি ও সোমবার গভীর রাতে আজগর আলীর বাড়ির আশপাশে সালাউদ্দিনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় বলে জানান তিনি।
আক্তার হোসেন অভিযাগে বলেন, “মঙ্গলবার রাত ১০টায় ভাত খেয়ে বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন বড়ভাই। রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে চলে যায় সালাউদ্দিন। এরপর সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।”
নিহত আজগর আলীর স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন বলেন, “শ্বশুরকে হত্যার পর সালাউদ্দিন ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। সেজন্য খুনের আগেই ভারতীয় ভিসা প্রস্তুত করে রাখে সে। যেকোনো সময় সালাহউদ্দিন ভারতে পালিয়ে যেতে পারে।”
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশের একাধিক টিম হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে মাঠে রয়েছে।”