ঢাকার বনানী এলাকার একটি ভবনের ১০ তলা থেকে পড়ে এক প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। যদিও পুলিশ এখন পর্যন্ত ওই প্রকৌশলীর মৃত্যুর কোনো সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি।
শুক্রবার (২৪ জুন) ওই ভবনের একটি স্পা সেন্টারে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পরিচালিত অভিযানের সময়ে এ ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণ।
নিহত ওই প্রকৌশলীর নাম নাসির উদ্দিন। তিনি মোংলা বন্দরের উপসহকারী প্রকৌশলী ছিলেন। তার বাড়ি ঢাকার মাতুয়াইলে। তবে চাকরিসূত্রে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে খুলনায় থাকতেন।
বনানী থানা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রথম আলো জানায়, ওই ভবনে থাকা স্পা সেন্টারে অভিযানের সময় নাসির ১০ তলা থেকে পড়ে যান। দুই ভবনের মাঝ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কেউ তাকে ফেলে দিয়েছে নাকি পুলিশের অভিযানের সময় পালাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তবে নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তার ভগ্নিপতি মাহমুদুল হক বলেন, পুলিশ বলছে, অভিযানের সময় পালাতে গিয়ে নাসিরের মৃত্যু হতে পারে। তবে সে এ ধরনের ছেলে না। তার জীবনযাপনের সঙ্গে স্পা সেন্টারে যাওয়ার বিষয়টি মিলছে না।
তিনি আরও বলেও, ওই স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপকের কাছে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চায়। সেখানে সিসিটিভি থাকলেও ভিডিও রেকর্ড করা হয় না বলে পুলিশকে জানানো হয়েছে। এ কারণে আমাদের সন্দেহ আরও বেড়েছে।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন, নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি পদ্মা সেতুর উদ্বোধন সামনে রেখে আমরা অভিযান জোরদার করি। গত শুক্রবার ওই ভবনে পুলিশ অভিযানে যায়। অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় সেখান থেকে ১৪ জনকে আটক করা হয়।
এছাড়া, নিহত ওই প্রকৌশলীর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।