রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ঠিকাদার গাজী আনিস মারা গেছেন। এ ঘটনায় হেনোলাক্স গ্রুপের কর্ণধার নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে আনিসের বড় ভাই নজরুল ইসলাম শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার এসআাই গোলাম হোসেন খান বলেন, “মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া ঠিকাদার গাজী আনিস হাসপাতালে মারা যান। কোম্পানি থেকে পাওনা কোটি টাকা না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
আনিসের দেহের ৮০% পুড়ে যায়। তিনি ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান, মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে আনিসের মৃত্যু হয়। ৫০ বছর বয়সী গাজী আনিসের বাড়ি কুষ্টিয়ায়, তিনি ঠিকাদারি ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন এবং এক সময় কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
একটি কোম্পানির কাছ থেকে পাওনা কোটি টাকা না পেয়ে ক্ষোভ থেকে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
তাদের দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী, সোমবার বিকাল ৫টার দিকে প্রেস ক্লাবের ফটকের ভেতরে খোলা স্থানে আনিস নিজের গায়ে আগুন দেন। শোয়া অবস্থায় তার গায়ে আগুন জ্বলছে দেখে আশপাশ থেকে সবাই ছুটে যান। তারা পানি ঢেলে আগুন নেভালেও ততক্ষণে তার গায়ের পোশাক সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
আনিসকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়ার সময় মো. আলী নামে এক সংবাদকর্মী ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, “তার সঙ্গে একটু কথা হয়েছিল। তিনি বলেছেন, একটি কোম্পানির কাছ থেকে তিনি ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবেন। ওই কোম্পানি তা দিচ্ছে না। পাওনা টাকা পেতে তিনি এর আগে মানববন্ধন করেছিলেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি তাই তিনি নিজের গায়ে আগুন দেন।”