ঝালকাঠিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) ৩য় শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (২৫ নভেম্বর) রাজাপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে বলে বাংলা ট্রিবিউনের একটি খবরে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, রবিবার রাজাপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুরভী আক্তারের পিইসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা থাকলেও পারিবারিক সমস্যার কারণে সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তবে, তার নামে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শামীমা আক্তার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
এই খবরের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল উক্ত পিইসি পরীক্ষাকেন্দ্রে যায়। তবে, আগে থেকে খবর পেয়ে কেন্দ্র সচিব মাহমুদা খানম ঐ প্রক্সি পরীক্ষার্থীকে সরিয়ে ফেলেন এবং হাজিরা খাতায় তার স্বাক্ষর কেটে দিয়ে তাকে পরীক্ষায় অনুপস্থিত দেখান কেন্দ্র সচিব মাহমুদা খানম। পরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা শামীমার ছবি দেখালে মাহমুদা খানম শামীমাকে সুরভী বলে দাবী করেন এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে সে পরীক্ষায় অনুপস্থিত বলে উল্লেখ করেন।
পরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে ছবি নিয়ে শামীমার বাড়িতে গিয়ে তাকে সনাক্ত করেন এবং সে ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী বলে জানতে পারেন। ৩য় শ্রেনীর অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে এ বিষয়ে নিশ্চিত হন তারা।
এ বিষয়ে শামীমার বাবা শামীম মৃধার ভাষ্য, "আমার মেয়ে ৩০ নং রাজাপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। চলমান পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের একটি মেয়ে অনুপস্থিত থাকায় শিক্ষিকা মাহমুদা আমার মেয়েকে দিয়ে পরীক্ষা দেয়াচ্ছেন।"
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খানম বলেন, "পানিশমেন্টের কারণে বদলি হয়ে যাওয়া বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক শফিক চক্রান্ত করে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এসব ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমার বিরুদ্ধে জামায়াত-বিএনপির একটি গ্রুপ ষড়যন্ত্র করছে।"
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, "ঘটনাটি আমি শুনেছি। তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"