আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)।
নির্বাচনকালীন সময়ে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও কর্তৃপক্ষকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
রবিবার, নির্বাচন কমিশনের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একটি বৈঠকের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনের একটি খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে আগত পর্যবেক্ষকদের অন অ্যারাইভাল ভিসা এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়াও, বিমানবন্দরে আগত পর্যবেক্ষকদের জন্য একটি হেল্প ডেস্ক খোলার জন্য বলা হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রনালয়কে বিদেশী সাংবাদিকদের জন্য তথ্য কেন্দ্র খুলতে বলা হয়েছে। এসব পদক্ষেপের পাশাপাশি বিভিন্ন বাংলাদেশি মিশনকে আগত পর্যবেক্ষকদের সব ধরণের সহায়তা প্রদানের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচন কমিশনদের সংগঠন ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়ার (ফেমবোসা) প্রতিটি দেশ (ভারত, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা) থেকে দু’জন সদস্যকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হবে।
নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, "বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আসতে যেন কোনো ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয় কমিশন সংশ্লিষ্ট দফতরকে সেই নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে কয়েকটি সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।"
উল্লেখ্য, ২০০১ এবং ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশী পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিকদের সমাগম লক্ষ্য করা গেছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দেড় লক্ষেরও বেশী স্থানীয় পর্যবেক্ষক এবং ৫৯৩ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচনকালীন সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
তবে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। ঐ সময় ৮,৮৭৪ জন স্থানীয় পর্যবেক্ষক এবং মাত্র ৪ জন বিদেশী পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশিদের তেমন কোন আগ্রহ এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন আসবেনা বলে নিজ থেকেই জানিয়ে দিয়েছে।