নড়াইলের লোহাগড়া থানার দিঘলিয়া গ্রামের সাহাপাড়ায় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়।
রবিবার (১৮ জুলাই) রাতে লোহাগড়া থানার এসআই মাকরুফ রহমান বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রবীর কুমার রায় সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারকে বলেন, “মামলায় অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মন্দিরসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়ি ও দোকানে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।”
লোহাগড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নারাণ চন্দ্র পাল ঢাকা ট্রিবিউনকে তখন জানিয়েছিলেন, ১৫ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এরপর দিঘলিয়া বাজারে ও সাহাপাড়ায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। তিনি বলেন, “উত্তেজিত জনতাকে প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কেউ বিতর্কিত পোস্ট দিলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে, এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
১৬ জুলাই দিবাগত রাত ১২টার দিকে ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কলেজ শিক্ষার্থী আকাশ সাহাকে। লোহাগড়ার দিঘলিয়া এলাকার বাসিন্দা সালাউদ্দিন কচি বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে লোহাগড়ায় মন্দিরসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়ি ও দোকানে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুজ্জামান এ আবেদন করেন।
সোমবার নড়াইলের কলেজ শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের রিটে সম্পূরক এ আবেদন করা হয়। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ঢাকা পোস্ট।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এই দুই আবেদনের ওপর একসঙ্গে শুনানি হতে পারে।