আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার পাশাপাশি দোয়াও চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রবিবার (২৪ জুলাই) সংলাপের ষষ্ঠ দিনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে সিইসি এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আল্লাহ পাকের রহমত এবং দয়া যদি না থাকে, আমাদের জন্য বিষয়টি (নির্বাচন পরিচালনা) কঠিন হবে। কাজেই আপনারা আমাদের জন্য অবশ্যই দোয়া করবেন; যাতে আমরা আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি।”
সংলাপে অংশ নিয়ে ৪০ দফা প্রস্তাবনা দেয় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। দলটির চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
সংলাপে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। সেই সঙ্গে সংসদ ভেঙে নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্প্রবর্তন, ইভিএম ব্যবহার না করা ও নির্বাহী ক্ষমতাসহ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনেরও দাবি জানিয়েছে দলটি।
রাজনৈতিক দলের সব কমিটিতে ৩৩% নারী সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত ধারা বাতিলের পাশাপাশি দল নিবন্ধনে কোরআন-সুন্নাহর সঙ্গে সাংঘর্ষিক শর্তারোপ না করারও প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী ভাবধারার এ দলটি।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের পক্ষ থেকে সংলাপে ইসির উদ্দেশে বলা হয়, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে এটা প্রতীয়মান হয় যে, দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় না। নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন অপরিহার্য। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ায় দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অস্থিরতা ও অবিশ্বাস বেড়েছে। উক্ত বিষয়টিও বিবেচনায় রাখবেন।
জবাবে সিইসি বলেন, “কেউ বলছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, কেউ বলছেন নির্বাচনকালীন সরকার, যদিও বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে সরকার থাকবে। নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকবে, সেই সরকার আমাদেরকে সহায়তা করবে। সেটি সরকারের সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব হবে।”
সংলাপে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “সবার বক্তব্য, নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়। শাসক দলকে বলতে শুনেছি- আমরা ওদেরকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাচ্ছি। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি- আমরা কাউকে বাধ্য করতে পারব না, সেটা আমাদের দায়িত্বও না। আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচনের জন্য সবাইকে আহ্বান করা।”