রাজধানী ঢাকার উত্তরায় চলমান বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে প্রাইভেট কারের পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় কিছু অনিয়ম উঠে এসেছে র্যাবের তদন্তে। জানা গেছে, ক্রেনটি চালাচ্ছিলেন চালকের সহকারী রাকিব। আর বাইরে থেকে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন মূল অপারেটর আল আমিন।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) র্যাবের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে অনলাইন গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউন।
র্যাব বলছে, ক্রেনের মূল অপারেটর আল আমিনের হালকা গাড়ি চালানোর অনুমোদন থাকলেও ভারি গাড়ি চালানোর লাইসেন্স নেই। ২০১৬ সালে ক্রেন চালানোর প্রশিক্ষণ নেন তিনি। এরপর ২-৩টি নির্মাণ প্রকল্পে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০২২ সালের মে মাসে বিআরটি প্রকল্পে ক্রেন অপারেটর হিসেবে যোগ দেন।
যে ক্রেনের কারণে দুর্ঘটনা সেটির সক্ষমতা ছিল ৪৫-৫০ টন। কিন্তু দুর্ঘটনার সময় ক্রেনে যে গার্ডার ছিল সেটির ওজন ছিল ৬০-৭০ টন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, বিআরটি প্রকল্পের থার্ড পার্টি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিল্ড ট্রেড ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে ক্রেনটি সরবরাহ করে। ক্রেনটি আনুমানিক ১৯৯৬-৯৭ সালে আনা হয়েছিল। প্রথমে ক্রেনটির সক্ষমতা ৮০ টন ছিল। পরে আস্তে আস্তে ক্রেনটির সক্ষমতা কমে যায়। সর্বশেষ ক্রেনটির সক্ষমতা ছিল ৪৫-৫০ টন। এছাড়া ২০২১ সালে সর্বশেষ ফিটনেস যাচাই করা হয়, এরপর ক্রেনটির আর ফিটনেস যাচাই করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বলেন, আমরা গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছি, ক্রেনটির ফিটনেস ছিল না। অতিরিক্ত ভার বহন করায় ক্রেনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ ধরনের গার্ডার শিফট করতে কাউন্টার লোড ব্যবহার করা উচিত ছিল। আরেকটি ক্রেন পাশাপাশি স্ট্যান্ডবাই রাখা উচিত ছিল।