কুষ্টিয়ায় সাব্বির আহমেদ (৩৭) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে তার স্ত্রী রজনী খাতুন পলাতক।
রবিবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মিলপাড়া ছোট ওয়ারলেস গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বিবের মৃত্যু হয়। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত রজনী খাতুন তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে এক বছর আগে সাব্বিরের বিচ্ছেদ হয়। প্রথম পক্ষের দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে সাব্বিরের সঙ্গে রজনী খাতুনের বিয়ে হয়। সম্প্রতি তাদের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হঠাৎ স্বজনরা সাব্বিরের চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে দেখেন, সাব্বির রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। দ্রুত উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তার মৃত্যু হয়।
সাব্বিরের চাচাতো ভাই তামিম হোসেন বলেন, “মধ্যরাতে চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙে। পরে সাব্বিরের ঘরে গিয়ে দেখি, সে রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছে। দ্রুত উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে সাব্বির মারা যায়। এ ঘটনার সঙ্গে রজনী জড়িত।”
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো ছুরি দিয়ে সাব্বিরকে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।”