বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝে চাপা খেয়ে রিনা আক্তার নামে (২৯) এক নারীর পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) পাঠানো হয়।
রবিবার (২ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার উলানিয়া কালীগঞ্জ লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “সোমবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছেন বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। তবে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে থানার উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, “আহত রিনা আক্তার তার মা ফাতেমা বেগমকে ঢাকাগামী লঞ্চে উঠিয়ে দিতে লঞ্চঘাটে গিয়েছিলেন। এমভি ফারহান-৪ লঞ্চটি ঘাটে ভিড়লে রিনা আক্তার তার মা ফাতেমা বেগমকে নিয়ে লঞ্চে উঠছিলেন। এ সময় লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝে চাপা লেগে বাম পা গুরুতর জখম হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণের পাশাপাশি হাঁটুর নিচের অংশ চামড়ার সঙ্গে ঝুলছিল। তার পায়ের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তাকে এখানে রাখা সম্ভব হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “রিনা আক্তারের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় লঞ্চ চালক, মাস্টার বা স্টাফদের কোনো ধরনের গাফলতি কিংবা অবহেলা ছিল কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, “রবিবার রাত ১১টার দিকে হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছিল রিনা বেগমকে। ক্ষতিগ্রস্ত পায়ের হাঁটুর নিচে থেকে হাড় গুড়ো হয়ে গেছে। তারপরও পা না কেটে সবকিছু ম্যানেজ করে ব্যাক স্লাব দিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।”