জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে ঢাকার পেট্রোল পাম্পগুলোতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পেট্রোল পাম্প অপারেটররা জানিয়েছেন, জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়ের পরপরই, অনেক বাসিন্দা তাদের জেনারেটর চালু রাখতে ডিজেল সংগ্রহ করতে পেট্রোল পাম্পে ছুটে যান।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৪ মিনিটে জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয় ঘটলে পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর অধিকাংশ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেশের অর্ধেক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক বলেন, “ডিজেলের উচ্চ চাহিদার কারণে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পেট্রোলিয়াম শেষ হয়ে যায় এবং অনেক ক্রেতা পেট্রোলিয়াম কিনতে এসে ফিরে যান।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাকা শহরের প্রায় ৪০টি পাম্প রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২৫% পাম্প ডিজেল বিক্রি করে, বাকি ৭৫% পাম্পে ডিজেল বিক্রি হয় না; শুধু অকটেন ও পেট্রোল বিক্রি হয়।”
নাজমুল হক আরও বলেন, “অনেক পাম্প ডিপো থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিজেল সংগ্রহ করতে পারেনি, কারণ তাদের কয়েকজন কর্মচারী দুর্গাপূজার ছুটিতে রয়েছেন। ফলে ডিজেল বিক্রি করা পাম্পগুলোও অতিরিক্ত চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে।”
এদিকে, গুলশান, বনানী ও নিকেতন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা ডিজেল সংগ্রহ করতে অনেক রি-ফুয়েলিং স্টেশনে গিয়েছিলেন। কিন্তু পাম্প মালিকেরা তাদের মজুদে ডিজেল নেই বলে জানিয়েছেন।