জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে গত ৮ বছরের মধ্যে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দেশে সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতেও ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় ফ্লাইটের সময়সূচিতে কোনো প্রভাব পড়েনি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের সময়সূচি ঠিকঠাক থাকলেও আধা ঘণ্টার মতো ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য যাত্রী সহায়তা সেবায় ধীরগতি ছিল বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বন্ধ করতে হয়েছিল আমাদের। এখন পর্যন্ত কোনো ফ্লাইটের সময়সূচিতে বিলম্ব হবে না বলে আশা করা যাচ্ছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক বলেন, জেনারেটর ব্যবহার করে বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। মাগরিবের নামাজের আগে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।
এছাড়া, ইমিগ্রেশন, চেক-ইন, লাগেজ বেল্ট এবং বোর্ডিং ব্রিজ সবই কার্যকর ছিল বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডে বিপর্যয় হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৫ মিনিট থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশ বাদে সারাদেশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) কর্মকর্তাদের মতে, দেশের পূর্বাঞ্চলে বিশেষ করে যমুনা নদীর পূর্ব দিকের জেলাগুলোর কোথাও কোথাও ট্রান্সমিশন লাইন ট্রিপ হয়েছে।
গ্রিড বিকল হয়ে যাওয়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের একের পর এক কেন্দ্র বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
তবে জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে সাত ঘণ্টা ব্ল্যাকআউটের পর মঙ্গলবার রাত ৯টার মধ্যে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।