নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো চাপে নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, “আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমরা আমাদের কাজ করছি।”
রবিবার (১৬ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫৭টি জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ভবনের মনিটরিং সেল থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে ইসি।
ভোট কারচুপি ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে বুধবার গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে ইসি।
এ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের চর্চা সাম্প্রতিক। আমরা এখান থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারি। যা একটি ভালো চর্চা।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনো দলের না। আমরা চাই ভোটাররা যেন তাদের ভোট দিতে পারে। এটা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করছি।”
“জাতীয় নির্বাচনের সময় ইসি এতগুলো কেন্দ্র সিসিটিভির মাধ্যমে কীভাবে পর্যবেক্ষণ করবে”- এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের সময় ৪০ হাজার বা ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রে চার লাখ বুথ থাকবে। পাঁচ নির্বাচন কমিশনার একা জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন না, পর্যবেক্ষণের জন্য আরও জনবল নিয়োজিত থাকবে।”
অপর এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনের মতো আগামীকালের জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।”
জেলা পরিষদ নির্বাচনে সারাদেশে ৪৬২টি কেন্দ্রের ৯২৫টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং ৬০ হাজার ৮৬৬ জন ভোটার ভোট দেবেন।