বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ জুনিয়র কর্মকর্তা এবং কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ফাঁসকৃত প্রশ্নের সফট ও হার্ডকপি, মোবাইল ফোন, নগদ দেড় লাখ টাকা, ব্যাংকের চেক, স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরিত দলিল, হিসাব-নিকাশের চারটি ডায়েরি এবং বিভিন্ন প্রার্থীর অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমটি অপারেটর মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৬), এমটি অপারেটর মোহাম্মদ মাহফুজ আলম ভূঁইয়া (৩১), এমটি অপারেটর মো. এনামুল হক (২৭), অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন (২৯) এবং অফিস সহায়ক হারুনুর রশিদ (৪০)ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ রাজধানীর মিন্টো রোডে শনিবার (২২ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “বিমান বাংলাদেশের নিয়োগ পরীক্ষায় নিয়োগ কমিটিতে থাকা জিএম এবং ডিজিএম এর সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো। কমিটি প্রশ্নফাঁস রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। কিন্তু তারা তা না করে এভাবে ঢালাওভাবে... অফিসে সহকারীরা প্রশ্নটা আউট করে দিলেন। সে কারণে আমরা সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গোয়েন্দা প্রধান বলেন, “বিমান বাংলাদেশের এই পাঁচ আসামি আগেও নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের সাথে আর কারা জড়িত তাও খোঁজা হচ্ছে। এ নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে তারা কত টাকার লেনদেন করেছে, এই টাকার ভাগ কার কার কাছে গেছে— সে বিষয়েও তদন্ত চলছে। বিমান বাংলাদেশে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।”
এর আগে শুক্রবার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বিভিন্ন পদে ১০০ জনকে নিয়োগের পরীক্ষা স্থগিত করে বিমান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উত্তরায় পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
উত্তরার দুটি স্কুলে বিকেল ৩টায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
তবে দুপুর ২টার দিকে পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয় বিমান।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জাহিদ হোসেন বলেন, “প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে বিমানের কোনো সিন্ডিকেট জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”