নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে করেছে।
শনিবার (২২ অক্টোবর) এ বিষয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জাহিদ হোসেনের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়, অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে।
জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থার আদেশে বলা হয়, মোটর পরিবহন অপারেটর জাহাঙ্গীর আলম, মাহফুজ আলম ভূঁইয়া ও এনামুল হক এবং অফিস সহকারী আওলাদ হোসেন আর হারুন উর রশিদকে তাদের নিয়োগ চুক্তির ১২ ধারা লঙ্ঘনের কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বিমানের ওই পাঁচ জুনিয়র কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযানের সময় প্রশ্নের সফট কপি এবং হার্ড কপি, ব্যাংক চেক, স্ট্যাম্পড নথি, চারটি ডায়েরি, পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র, মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা জব্দ করা হয়।
এদিকে, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার বিমানের আরেক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা জাহিদ নামের ওই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তার পদবী সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিমানের ঘণ্টাব্যাপী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দারা জানতে পারেন ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। অপরাধীদের শনাক্ত করার পর সংস্থাটি একটি অভিযান শুরু করে। অভিযানে মোট ১০০টি ফাঁস হওয়া প্রশ্ন উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে উত্তরার দুটি স্কুলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
তবে দুপুর ২টার দিকে পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয় বিমান।