বাগেরহাটের মোল্লাহাটে তিন বছরের সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর মো. হায়দার মোল্যা (২৮) নামে এক বাবা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাতে মোল্লাহাট উপজেলার বড় গাওলা গ্রামের বাড়ি থেকে হায়দার মোল্যা ও তার শিশুসন্তান জিসানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
হায়দার মোল্যা ওই গ্রামের সলেমান মোল্যার ছেলে। পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
বিষয়টি ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান পুলিশ পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলম।
তিনি বলেন, “হায়দার মোল্যা দুই মাস ধরে ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। স্ত্রী জোবাইরা খাতুনের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া চলছিল। সেই কারণে ছয় মাস ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন তার স্ত্রী। তাদের শিশুসন্তান জিসান দাদার বাড়িতে দাদীর সঙ্গে থাকতো।”
তিনি আরও বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে হায়দার ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ ঘরে জিসানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে ফ্যানে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। সন্ধ্যা থেকে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। ডাকাডাকির একপর্যায়ে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে হায়দারকে ফ্যানে ঝুলতে দেখেন প্রতিবেশীরা। এ সময় জিসানকে বালিশ চাপা অবস্থায় দেখতে পান তারা।”
পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলম বলেন, “পারিবারিক কলহের কারণে শিশুসন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর হায়দার আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আমরা।”
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ফকিরহাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।