পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে বলে গুজব ছড়ানোর দায়ে এক যুবকের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত রাজিব (১৯) রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বড়গাছি হাজীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাজশাহী বিভাগীয় সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহীর সাইবারক্রাইম আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ইসমত আরা।
আরও পড়ুন- পদ্মা সেতু থেকে গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু
তিনি বলেন, “২০১১ সালের অক্টোবর মাসে আসামি রাজিব তার ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, ‘বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর নির্মাণ চলাকালীন পথে বাধা পড়েছে। তাই এক লাখ বা তারও বেশি মানুষের মাথা প্রয়োজন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে বের হয়েছে ৪১টি দল। তারা এই মাথা সংরক্ষণ করার জন্য পথে ঘাটে, খেলার মাঠে, হাটে বাজারে ইত্যাদি জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এদের কাছে রয়েছে ধারালো ছুরি ও গ্যাস স্প্রে। যা ১০-১৫ হাত দূর থেকে নিক্ষেপ করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। আর তখন তারা কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাথা। এদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নারী ও শিশু। ঘরে ঢুকেও এরা করছে এই জঘন্যতম কাজ। আজও কেটে নিয়েছে অনেক অনেক মানুষের মাথা। তাই পুরো এলাকায় মাইকে ঘোষণা করে সতর্ক করে দেওয়া উচিত'।”
আরও পড়ুন- পদ্মা সেতুতে চলাচলের আশায় মোটরসাইকেল চালকরা
ইসমত আরা বলেন, “আসামি রাজিব হোসাইনের বিরুদ্ধে আনা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫(১)/৩১(১) ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫(২) ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৩১(২) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।”