বগুড়ার ধুনটের রাঙ্গামাটি কুমারখালি গ্রামে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে এলাঙ্গী ইউনিয়ন যুবদল কর্মী মুরাদ হোসেনের বাড়ির দুটি ঘর ভস্মিভূত হয়েছে। এতে নগদ টাকা, গহনাসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। আগুন দিতে বাধা দেয়ায় মারপিটে তার চাচা আবদুল কাদের আহত হন। এর আগে এলাঙ্গী বাজারে ছাত্রদল নেতাকর্মী নাহিদ হাসান ও মাসুদ রানাকে মারপিট করা হয়।
যুবদল কর্মী মুরাদ হোসেন এ হামলার জন্য এলাঙ্গী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এমএ তারেক হেলালকে দায়ি করেছেন। তবে হেলাল চেয়ারম্যান দৃঢতার সাথে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মুরাদ একটা সন্ত্রাসী। তাকে হেয় করতে মিথ্যাচার করছে”।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দাবি, প্রতিপক্ষের লোকজন ওই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন নেভানোর চেষ্টা করার সময় একজনকে মারপিটও করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে ধুনট থানার এসআই শফিকুল ইসলাম বলেছেন, “হেলাল চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মামলা দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে”।
রাঙ্গামাটি কুমারখালি গ্রামের মৃত গোলাম ইদ্রিস খোকার ছেলে ইউনিয়ন যুবদল কর্মী মুরাদ হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের দেয়া ৫-৬টি মামলা রয়েছে। মামলার কারণে তিনি রাতে বাড়িতে থাকেন না। রাজনৈতিক শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করতে সোমবার রাতে ১১টার দিকে এলাঙ্গী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা এমএ তারেক হেলালের নেতৃত্বে ইউনিয়ন প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেনসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগের ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী তার বাড়ির সামনে আসে। তাকে বাড়িতে না পেয়ে প্রথমে তার মোটর বাইকে আগুন দেয়। এরপর তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে তার ঘরে থাকা নগদ দুই লাখ টাকা, স্ত্রীর সোনার গহনাসহ অন্যান্য আসবাবপত্র মিলে প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল ভস্মিভূত হয়। ধুনট ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নেভায়।
তিনি আরও জানান, আগুন দিতে বাধা দেয়ায় তার চাচা আবদুল কাদের দুর্বৃত্তদের মারপিটে আহত হন। এর আগে দুর্বৃত্তরা এলাঙ্গী বাজারে তার চাচাতো ভাই ছাত্রদল নেতাকর্মী মাসুদ রানা ও নাহিদ হাসানকে মারপিট করেছে।
যুবদল কর্মী মুরাদ হোসেন জানান, তিনি এ ব্যাপারে থানায় মামলা করবেন। থানা গ্রহণ না করলে আদালতে যাবেন।