সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কার জমজম কূপের পানি বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশের রাজধানীতে। তবে এই পানীয় কি সত্যিই মক্কার জমজমের পানি, নাকি কোনো অসাধু চক্র “জমজমের পানি” বলে চালিয়ে দিচ্ছে? এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
বিষয়টি নজরে এলে এই পানির উৎস খুঁজতে মাঠে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করে অধিদপ্তর। এতে নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক এবং ঢাকা জেলা কার্যালয়ের প্রধান আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
অভিযানে বায়তুল মোকাররম মার্কেটের আতর-টুপির দোকানে মেলে জমজমের পানির খোঁজ। এ পানি কীভাবে মধ্যপ্রাচ্য পেরিয়ে এদেশে এলো? এটি সত্যিই জমজম কূপের পানি কি-না, এই পানি বিক্রির বৈধতা কতটুকু? বিক্রেতার কাছে এসব বিষয়ে জানতে চান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
জমজম পানির ব্যবসায়ী জানান, হজ বা ওমরাহ করে দেশে ফেরার সময় হাজিরা জমজমের পানি নিয়ে আসেন। তারা চাহিদার থেকে অতিরিক্ত পানি নিয়ে আসেন। সেগুলো মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন।
আরও পড়ুন- ঢাকায় চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে জমজমের পানি
এই পানি আসল নাকি নকল- সে বিষয়ে বিক্রেতাদের কোনো ধারণা নেই। বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে এসব পানি কেনাবেচা করছেন বলে জানান তারা।
এই পানি বিক্রির বৈধতার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশে জমজম কূপের পানি বৈধভাবে কেউ আমদানি করে না। হাজিরা সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। হাজিদের কাছ থেকে কিনে খুচরা বিক্রি করা হয়। চাহিদা থাকায় বেশ ভালো দামে বিক্রি হয় “জমজমের পানি”।
অভিযান শেষে মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, “বায়তুল মোকাররম মার্কেটে যেসব ব্যবসায়ী জমজমের পানি বিক্রি করছেন, সবাইকে সোমবার ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। জমজমের পানি বিক্রির বিষয়ে ব্যবসায়ীরা যেসব তথ্য দিয়েছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। যেহেতু জমজমের পানির সঙ্গে ধর্মীয় বিষয় জড়িত, তাই আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
অনলাইন গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউন জানায়, সোমবার সকাল ১০টায় জমজমের পানি বিক্রি নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মো. শফিকুজ্জামান। সভায় আলোচনার পর এ পানি বিক্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেখে কর্মকর্তাদের খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।