রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের গ্রামের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা। হাওরের মিঠাপানির ১৬ রকমের মাছ আর অষ্টগ্রামের বিখ্যাত পনির দিয়ে তাকে আপ্যায়ন করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এসব তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্রে জানা যায়, দুপুরের খাবারে সাদা ভাতের সঙ্গে ছিল রুই, কাতল, চিতল, আইড়, পাবদা, গোলসা টেংরা, কালবাউশ দোপেঁয়াজো; শোল, বাইম, চিংড়ি, বোয়াল, গ্রাস কার্প, বাছা মাছ ভুনা; রিটা ও পাঙাশ মাছের ঝোল, মসুর ডাল, সালাদ, রসমালাই। সঙ্গে ছিল মুরগি, হাঁস, খাসি, গরুর মাংস এবং নানা জাতের পিঠা।
মো. রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, “বঙ্গভবনের বাবুর্চি ও পরিবারের নারীরা মিলে এই খাবারের আয়োজন করছেন।”
প্রধানমন্ত্রীকে নিজ বাড়িতে স্বাগত জানাতে এক দিন আগেই সোমবার বিকেলে মিঠামইন পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রাশিদা হামিদসহ পরিবারের সদস্যরা।

মধ্যাহ্নভোজন শেষে প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাডে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে দূরদূরান্ত থেকে নেতা-কর্মীরা রাত থেকেই আসতে শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বহু দৃষ্টিনন্দন তোরণ। জনসভার জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশাল আকারের নৌকার আদলের মঞ্চ।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, “রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই এলাকার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি এখানে একটি সেনানিবাস স্থাপনের ইচ্ছা করেন। তার ইচ্ছে অনুযায়ী আমরা এই সেনানিবাস স্থাপন করেছি।”
তিনি বলেন, “আবদুল হামিদ ডেপুটি লিডার, ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার এবং শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির মতো পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি যে পদেই ছিলেন- সেখানেই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি তিনি তার টানা দ্বিতীয় মেয়াদেও সফলভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই, আমরা তার নামে সেনানিবাসের নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
দেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ গঠনে রাষ্ট্রপতির বড় ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি (রাষ্ট্রপতি) একজন নিবেদিতপ্রাণ এবং জনগণের সেবা করার জন্য তিনি সৎ জীবনযাপন করেন। তাই, আমরা তার নামে এই সেনানিবাসের নামকরণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত।”