পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার পলাতক আসামি ও দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম আপন ওরফে আরাভ খানের স্বর্ণ ব্যবসার সঙ্গে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জড়িত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “তদন্তের স্বার্থে সাকিব আল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ছাড়াও দুবাইয়ে আরাভ খানের জুয়েলারি দোকানের উদ্বোধনে উপস্থিত বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যক্তিদেরও তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে।”
গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের পেছনে বাংলাদেশের কেউ জড়িত কি-না তাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।”
তিনি আরও বলেন, “ইতোমধ্যে পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। তারপরও তদন্ত কর্মকর্তারা আসামি কোথায় রয়েছে সেসব বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন। তদন্তে এবং খোঁজখবর রাখার ধারাবাহিকতায় আমরা নিশ্চিত হই সে দুবাই অবস্থান করছে।”
হারুন অর রশিদ বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যম পর্যালোচনা করে আমরা জানতে পারি, এ আরাভ খান হচ্ছে রবিউল ইসলাম। এছাড়া, সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম ধারণ করেছে। আরাভ খানই মূলত ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ ইন্সপেক্টর মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি।”
২০১৮ সালের ৮ জুলাই ঢাকার বনানীর একটি বাসায় গিয়ে খুন হন বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান। পরদিন তার মৃতদেহ বস্তায় ভরে গাজীপুরের উলুখোলার একটি জঙ্গলে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের পর রবিউল ভারতে পালিয়ে যান এবং আরাভ খান নামে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে দুবাই চলে যান।