আসছে ঈদ-উল-ফিতরের আগের তিন দিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরের তিন দিনসহ মোট ৭ দিন পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া ফেরিতে সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পারাপার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “আরিচা, কাজিরহাট, পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া আমরা ফেরি সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছি। হরিনা এবং আলুবাজারেও ফেরি সংখ্যা বাড়ানো হবে। সন্দীপ ও হাতিয়ার মতো উপকূলীয় এলাকায় সি ট্রাক চালু থাকবে। তাজউদ্দিন ও আইভি রহমান সেখানে নিয়মিত চলাচল করবে। কাজেই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর সামনে রেখে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে নৌ-সেবা নিতে পারে, সে বিষয়ে আমরা আন্তরিক।'
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ঈদের সময় লঞ্চে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। লঞ্চের ভাড়া নির্ধারণ করা আছে। ঈদের সময় লঞ্চে সেই নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হয়। বছরের অন্য সময় কম ভাড়া নেওয়া হয়।”
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচলে চালকদের দাবি সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “শিমুলিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কাজেই আমরা চেষ্টা করছি। এখানে সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কারণ শিমুলিয়ায় যদি আমরা চালু করি তাহলে দুই বার পদ্মা সেতু ক্রস করতে হবে। সেটা তাদের অনুমতির প্রয়োজন আছে।”
তিনি আরও বলেন, “দুই নম্বর হচ্ছে আমরা যদি সরাসরি চ্যানেল তৈরি করি সেখানে বিদ্যুৎ বিভাগের একটা অনুমতির প্রয়োজন আছে। সেটা অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “শুধু মাওয়া হাইওয়ে না, ধীরে ধীরে সব হাইওয়েতে কিন্তু মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটার গতিসীমাও কিন্তু লিমিট করে দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও এ ধরনের হাইওয়ের মধ্যে ওভার মোটরসাইকেল চলাচলের ব্যবস্থা নেই। কাজেই এগুলো আমাদের মানতে হবে। এখন দেখা যায় ঢাকা থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। তার শারীরিক সক্ষমতা, মোটরসাইকেলের সক্ষমতা সব কিছু মিলিয়ে যেকোনো মুহূর্তে একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”