রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
অগ্নিকাণ্ডের পরদিন বুধবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ সময় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ডিএমপি দক্ষিণ) আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ফায়ার সার্ভিস।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মিলিত সাহায্যকারী দল, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দলের চেষ্টায় ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে নিয়ন্ত্রণে এলেও অগ্নিকাণ্ডের ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় পরও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি ঢাকার বঙ্গবাজারের আগুন।
মঙ্গলবার দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও সন্ধ্যার দিকে তা আবার ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দমকলকর্মীও আছেন।
এ অগ্নিকাণ্ডে ১২ হাজারের বেশি দোকান পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে তারা আশঙ্কা করছেন। এসব দোকানে কাজ করেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
ব্যবসায়ীরা জানান, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের ভেতর চারটি মার্কেট রয়েছে। সেগুলো হলো- বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট। কাঠ ও টিনের তৈরি এই মার্কেটগুলো তিন তলাবিশিষ্ট।