ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়ায় আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিতে যাত্রীদের ভিড় সামলাতে কমলাপুর রেলস্টেশনে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এবারের ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে অনলাইনে সব অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হয়েছে। ফলে আগের মতো টিকিটের জন্য মধ্যরাত থেকে রেলস্টেশনে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয়নি।
ইতোমধ্যে রেলের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শেষ হয়েছে। এখন ঈদের ট্রেন যাত্রার অপেক্ষায় সময় পার করছেন যাত্রীরা।
এ বছর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে টিকেট কাটতে হয়েছে বলে যেসব যাত্রীর টিকিট আছে, শুধু তারাই এবার রেলস্টেশনে ঢুকতে পারবেন। কারণ বিনা টিকেটের যাত্রীদের প্রবেশ ঠেকাতে এবার রেল কর্তৃপক্ষ তৎপর।
বুধবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, দেয়ালে নতুন রঙের কাজ চলছে। আলোকসজ্জায় বসানো হচ্ছে নতুন এলডি লাইট। বিনা টিকেটের যাত্রীদের প্রবেশ ঠেকাতে স্টেশনের বাইরে বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রবেশপথ তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্য দিয়ে যাত্রীদের সারিবদ্ধভাবে ঢুকতে হবে। ঢোকার আগে টিকেট দেখাতে হবে। বিমানবন্দর স্টেশনেও ফাঁকফোকর বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি বছরই ঈদের সময় বিপুল সংখ্যক যাত্রী বিনা টিকেটে ট্রেনে ভ্রমণ করেন। এতে ট্রেনের ভেতর থাকা প্রকৃত যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া, বিনা টিকেটের যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে ছাদে, ইঞ্জিনের সামনে, দরজায় দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করেন। এসব বন্ধ করতে এবার টিকিট দেখে যাত্রী প্রবেশ নিশ্চিত করতে আগের থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
টিকিটধারী যাত্রীদের ভ্রমণ নিশ্চিতের বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাসুদ সারওয়ার বলেন, এ বছর ঈদ যাত্রা সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্য করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইনে শতভাগ টিকিট বিক্রি করছে। ইতোমধ্যে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা ঘরে বসে অনলাইনে টিকিট কেটেছেন। এবার টিকেট যার সেই কেবল ট্রেন ভ্রমণ করতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, বিনা টিকেটের যাত্রীদের স্টেশনে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সে জন্য অস্থায়ীভাবে বাঁশ দিয়ে প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া, রেলস্টেশনের ভেতরে নতুন করে রঙ করা, লাইট বসানোসহ গ্রিলগুলোও মেরামত করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বরাবরের মতো তৎপর থাকবে।