Friday, March 28, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

জলবায়ু পরিবর্তন: নগরায়নে বাংলাদেশের দ্বৈত নীতি

তাপমাত্রা বৃদ্ধি মোকাবিলায় সাময়িক স্বস্তি পেতে গিয়ে শহরকে ভবিষ্যতের জন্য আরও বেশি হুমকিতে ফেলা হচ্ছে বলে মনে করেন স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদরা

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:৫৮ পিএম

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ সোচ্চার বাংলাদেশ। কিন্তু এই প্রভাব মোকাবিলায় নগরায়নসহ নানা জাতীয় নীতিতে কি পর্যাপ্ত পরিবর্তন আনা হয়েছে?

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্য অনেক দেশের আগেই উচ্চারিত হয় বাংলাদেশের নাম। বিশ্বের সপ্তম ঘনবসতিপূর্ণ দেশটি ২০২০ সালেই দ্বিতীয়বারের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ৫৫টি দেশের জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের নেতৃত্বে ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশটি যতটা সোচ্চার, অভ্যন্তরীণ নীতিতে তার প্রভাব অনেকটাই সীমিত।

বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। ভাটির উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের পাশাপাশি উজানে বাড়ছে বন্যা এবং টর্নেডো। ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব সতর্কতামূলক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের দক্ষতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু এর ফলে ভৌগলিক এবং জীবিকার পরিবর্তন নিয়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি কী রয়েছে?

সরকারের হিসেবেই ২০ কোটি মানুষের বাংলাদেশে প্রায় এক কোটি মানুষ পরিণত হয়েছেন জলবায়ু উদ্বাস্তুতে। এই উদ্বাস্তুরা জীবিকার সন্ধানে জড়ো হচ্ছেন রাজধানী ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে। কিন্তু শহরগুলো কি সেই চাপ সামলাতে জলবায়ু উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে?

শহর পরিণত ‘উত্তপ্ত চুল্লিতে'

তাপমাত্রা বৃদ্ধি মোকাবিলায় সাময়িক স্বস্তি পেতে গিয়ে শহরকে ভবিষ্যতের জন্য আরও বেশি হুমকিতে ফেলা হচ্ছে বলে মনে করেন স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবীব। প্রশাসন ও বাণিজ্যসহ নানা ক্ষেত্রে ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ না করায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, “পরিকল্পনা নাই এটা সত্য নয়। পরিকল্পনা রয়েছে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণের জন্য ঢাকার চারপাশে তিনটি রিং রোড তৈরি করে ঢাকাকে এড়িয়ে আশেপাশে স্যাটেলাইট সিটি তৈরির পরিকল্পনা অনেক আগের। এর ফলে মানুষ ঢাকায় এসে কাজ করে আবার অন্য শহরে চলে যেতে পারতো। কিন্তু সেই সড়কগুলো তৈরি হয়নি। বরং পদ্মা সেতুর সংযোগ দেওয়ায় সেই সেতুর পুরো যান চলাচল ঢাকার ওপর দিয়ে হচ্ছে।”

কলকারখানার ধোঁয়া থেকে মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে ঢাকার পরিবেশ। শ্যামপুর এলাকা থেকে তোলা ছবি/ মেহেদি হাসান/ঢাকা ট্রিবিউন

অর্থনীতি, শিক্ষা, বাণিজ্য, প্রশাসন থেকে শুরু করে সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু ঢাকায় কেন, এ প্রশ্নও তোলেন তিনি। ঢাকার আশেপাশে সমুদ্র না থাকলেও নৌবাহিনীর সদর দপ্তর ঢাকায়, এমনকি ঢাকা বাংলাদেশের কেন্দ্রে অবস্থিত হলেও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সদর দপ্তরও ঢাকায়। এমন সব স্থাপনা রাজধানীর বাইরে না সরালে শহরের ওপর বাড়তি চাপ কমানো সম্ভব হবে না বলে মনে করেন ইকবাল হাবীব।

এর ফলে যে ভয়াবহ চাপ তৈরি হচ্ছে মহানগরের পরিবেশের ওপর, তা আশঙ্কাজনক। রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের পাঁচটি প্রধান মহানগরীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই এক চিত্র। অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কানাডার ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের মোট ছয় জন গবেষক এতে যুক্ত ছিলেন।

স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট- এই পাঁচটি শহরের দিনের ও রাতের তাপমাত্রার ধরন বিশ্লেষণ করে এই গবেষণাটি চালানো হয়। এর মধ্যে ছিল প্রতিদিনের দুপুর ও রাতের তাপমাত্রার তথ্য। প্রায় আট হাজার স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করা হয়েছে এই গবেষণায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি যেখানে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রাখা হচ্ছে, ঢাকার তাপমাত্রা গত ২০ বছরে প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন নয়, বরং অন্য শহরগুলোর তুলনায় ঢাকার তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধির পেছনে এর জনসংখ্যা, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলাভূমি ভরাট ও গাছপালা কেটে ফেলাকেই দায়ী করা হয়েছে গবেষণায়।

গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানী এবং স্কুল অব আর্থ এন্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক ড. আশরাফ দেওয়ান। তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন একটা ভালো মুখরোচক গল্প। এখন যেকোনো কিছুর সঙ্গে এটাকে ট্যাগ করে দিতে পারেন। আমাদের দেশের এই পাঁচটা শহরে প্রধান যে সমস্যা, তা হচ্ছে নীতির অভাব। আমরা খুব বলতে থাকি যে পরিকল্পনার অভাব, কিন্তু আমরা কি আসলে জানি যে কী কী পরিকল্পনা আমাদের গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে?”

গবেষণায় দেখা গেছে, শহরগুলোর আশেপাশের অঞ্চলে দিনের তাপ হারিয়ে রাতের তাপমাত্রা যতটা কমে আসতে পারে, শহরগুলোতে আর আগের মতো রাতের তাপমাত্রা সেভাবে কমতে পারছে না। শহরকে ইট ও কংক্রিট দিয়ে ভরে ফেলা, পর্যাপ্ত জলাধার ও গাছ না থাকার ফলে ঢাকাসহ অন্য মহানগরগুলো পরিণত হচ্ছে “হিট আইল্যান্ড” বা উত্তপ্ত দ্বীপে। এই দ্বীপের আশেপাশে তাপমাত্রা কম থাকলেও দ্বীপটি থাকছে দিনরাতই উত্তপ্ত।

আশরাফ দেওয়ান বলেন, “যাদের টাকা আছে তারা এসি লাগাচ্ছে। কিন্তু যাদের টাকা নেই, সে সংখ্যাটাই বেশি। যে তাপ শোষণ করছে আমাদের ভবন তৈরির উপাদানগুলো, যত্রতত্র আমরা গাছপালা নষ্ট করছি, বিল বা জলাশয়কে নষ্ট করছি। এর ফলে তাপ জমা হচ্ছে, যার প্রভাব এখনই দেখা যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি বিপর্যয় ডেকে আনবে।”

যানজটে স্থাবির সড়ক/ ফাইল ছবি

বাড়ছে দুর্যোগ, ক্ষয়ক্ষতি, জলবায়ু উদ্বাস্তু

গত তিন দশকে ২০০টিরও বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হেনেছে বাংলাদেশে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে পূর্বাভাস এবং সতর্কতামূলক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ দক্ষ হয়ে ওঠায় কমানো গেছে প্রাণহানি। কিন্তু অর্থনৈতিক ক্ষতি বেড়েই চলেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০০৯-২০১৪ সালের চেয়ে ২০১৫-২০২০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ক্ষতির ৫৬.৪% হয়েছে বন্যার কারণে, ক্ষতি হয়েছে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার। ২০০৯-২০১৪ সালে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ছিল চার হাজার ২৮০ কোটি টাকা।

জুনে প্রকাশিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ক পরিসংখ্যানে জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর এর প্রভাবের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। দুর্যোগের ঝুঁকি, প্রভাব এবং অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির একটি জাতীয় ডাটাবেইজ গড়ে তোলাই এই পরিসংখ্যানের লক্ষ্য। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এটি এ বিষয়ক দ্বিতীয় প্রতিবেদন। প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল ২০১৬ সালে।

বন্যার পাশাপাশি ভূমিধ্বস এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরিমাণও বেড়েছে। আগের প্রতিবেদনে এই তিন দুর্যোগে ক্ষতির পরিমাণ মোট ক্ষতির ৫৮.৪% থাকলেও দ্বিতীয় পরিসংখ্যানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫.৬%।

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, বাড়ছে উপকূলবর্তী অঞ্চলের জমিতে লবণাক্ততা। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা বিধৌত বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপের উজানেও অতিবৃষ্টি, ভয়াবহ বন্যা এবং নদী ভাঙনে বাস্তুচ্যূত হচ্ছেন লাখো মানুষ। এ বছরের জুনে সিলেট অঞ্চলে ১২২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ৩০ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন, ৪০ হাজার ঘরবাড়ি পড়ে ভাঙনের মুখে।

একসময় মৌসুমি দুর্যোগের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার স্থানীয় দক্ষতা থাকলেও এখন বছর বছর বেড়ে চলা চতুর্মুখী এই দুর্যোগের কবলে সর্বস্ব হারিয়ে বিকল্প জীবিকার সন্ধানে অনেকেই বাড়ি জমাচ্ছেন গ্রাম থেকে শহরে।

বিশ্বব্যাংকের একটি হিসাব জানাচ্ছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর চার লাখ মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আসছেন। অর্থাৎ, প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ নিজেদের আবাস পরিবর্তন করছেন। এদের ৭০% জলবায়ু উদ্বাস্তু।

কিন্তু বৈশ্বিক এই সংকটের স্থানীয় সমাধানে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই বলে মনে করেন আশরাফ দেওয়ান। তিনি বলেন, “প্রতিদিন শহরে যে বাড়তি মানুষের তাপ হচ্ছে, সেটা নিয়ে আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য আমরা জলবায়ুকে দায়ী করি। কিন্তু পাঁচটি শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন কম দায়ী, বড় সমস্যা হচ্ছে জনসংখ্যা এবং অপরিকল্পিত উন্নয়ন।”

সৈয়দ জাকির হোসেন/ ঢাকা ট্রিবিউন

তিনি বলেন, “যেকোনো কিছুকে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা গেলে সেটিতে অন্য একটা মাত্রা আসে। কিন্তু আমাদের গবেষণায় আমরা সেটা দেখিনি। অভ্যন্তরীণ অভিবাসন একটা বড় ফ্যাক্টর, যেটা কিভাবে ব্যবস্থাপনা করা যাবে এ নিয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। অপরিকল্পিত নগরায়নের শেষ কোথায় তা আমরা জানি না। যদি এ অবস্থা চলতে থাকে তাহলে খুব বেশি দিন লাগবে না, পাঁচ বছরের মধ্যে ঢাকার বেশিরভাগ অঞ্চল বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।”

এখনও আশা রয়েছে

ঘনবসতি, অপরিকল্পিত নগরায়ন, জনসংখ্যার চাপ এবং নীতির অভাব সত্ত্বেও এখনও শহরগুলোকে বাঁচানোর আশা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

আশরাফ দেওয়ান বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে বাস্তুতন্ত্র থেকে শুরু করে সবকিছুই জড়িত। জলবায়ুর তথ্যগুলোকে যদি পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়, পাশাপাশি পরিবেশগত সুশাসন। এই দুটা বিষয় এখন থেকে শুরু করতে হবে। আমরা পেছনে যেতে পারবো না। কিন্তু আজকে থেকে শুরু করে ভবিষ্যতে এটা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া এই বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে না।”

অপরিকল্পিত নগরায়ন হলেও এখন চাইলে ঢাকাকে পুনর্গঠন করেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন ইকবাল হাবীব। ঢাকার যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এখন পর্যন্ত হয়েছে, সেটি সাময়িক হওয়ায় সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এখনও ঢাকাকে নতুন করে গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) এর এক গবেষণা সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের ঢাকা এখনও প্রায় ৭৩-৭৪% পুনর্গঠনমুখী। আপনি অবাক হবেন, ঢাকার যে সম্পূর্ণ উন্নয়ন, তার কেবল ২৭-২৮% গত ৩০-৪০ বছরে হয়েছে। অর্থাৎ, ঢাকার অবকাঠামো সাময়িক উন্নয়ন দিয়ে ভরাট হয়ে আছে। এর মানে এখনও সম্ভাবনা রয়েছে। এই পুরো অবকাঠামোতে যদি নিয়ন্ত্রিতভাবে এখনই হাত দেওয়া যায়।”

এ বিষয়ে জাপান এবং জার্মানির উদাহরণ তুলে ধরেন ড. আশরাফ দেওয়ান৷ জাপান আকারে বাংলাদেশের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বড় হলেও দেশটির ২০% জমি ব্যবহারযোগ্য। অন্যদিকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা জাপানের চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও ব্যবহারযোগ্য জমির পরিমাণ দেশের প্রায় ৮০%।

তিনি বলেন, “আমাদের যে সংস্থাগুলো রয়েছে, বিভিন্ন শহরের যে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রয়েছে, তাদের পরিকল্পনা করার কোনো সামর্থ্য নেই। এমন একটা ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করতে পারে না, যেটা মানুষ মানতে বাধ্য হয়। জার্মানিতেও আপনি দেখবেন কেউ আপনার কাজ করে দিচ্ছে না। বরং আপনাকে মানতে বাধ্য করা হয়। বাসার সুনির্দিষ্ট উপকরণ না থাকলে বাসাই তৈরি করতে দেওয়া হয় না। আমাদেরও তেমন ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে সেটা বাস্তবায়ন করা যায় না।”

ধানমন্ডি লেক/ ঢাকা ট্রিবিউন

মহানগরকে রক্ষায় জলাশয় নির্মাণ ও পুনরুদ্ধার, পার্ক নির্মাণ, কেমন জমিতে কেমন ভবন তৈরি করা যাবে, কী পরিমাণ গাছ লাগাতে হবে, এমনকি ভবন তৈরির উপকরণও নির্দিষ্ট করে দেওয়াসহ নানা পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। রাজনীতি যাতে পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সে ব্যাপারেও নজর দেওয়ার আহ্বান তাদের।

   

About

Popular Links

x