রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকা থেকে মাওলানা জালাল উদ্দিন জালালী নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাতটার দিকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পাশের একটি ভবন থেকে তার সহযোগী হাফেজ হাসান আহমেদ ওরফে লাক্ষাতুরাকে আটক করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাফেজ হাসান আহমেদ তাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউন।
হাফেজ হাসান আহমেদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মাসে ৩০ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার কথা বলে সহযোগী হিসেবে তাকে কাজে নেন মাওলানা জালাল উদ্দিন জালালী। তবে পুরো বেতন দিতেন না। এছাড়া তার সহযোগী হাফেজ হাসান আহমেদ ওরফে লাক্ষাতুরাকে দুই বার ধর্ষণ করেন। এই ক্ষোভ থেকে মাওলানা জালাল উদ্দিন জালালিকে কুপিয়ে হত্যা করে হাফেজ হাসান আহমেদ।
এ বিষয়ে মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে রূপনগর থানায় খবর আসে রূপনগর আবাসিক এলাকার ভাড়াটিয়া মাওলানা জালাল উদ্দিন জালালীর ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ। চাবি পড়ে আছে ফ্ল্যাটের দরজার সামনে। সেখানে রক্তের দাগ। ডাকাডাকি করলে ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ দেখতে পান এবং হত্যার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করেন।
তিনি বলেন, “তদন্তে পাশের ভবনের সিঁড়ির নিচ থেকে জালাল উদ্দিনের সহযোগী হাসান আহমেদকে আটক করা হয়। তার জামা কাপড়ে রক্তমাখা এবং হাতে ছিল রক্তের দাগ। জিজ্ঞাসাবাদে সে এ ঘটনার দায় স্বীকার করে। সে বলে, ক্ষোভ থেকে সে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।”
রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান সরদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত হাসান জানায়, আজ ফজরের নামাজের পর আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে দিয়ে হাত-পা টেপাচ্ছিলেন জালাল। এ সময় হাসান টাকা চাইলে তিনি পুরো বেতন দিতে অস্বীকার করেন। এ সময় হাসান ক্ষুব্ধ হয়ে ছুরি দিয়ে তার ওপর আক্রমণ করে। তাকে ছুরি এবং বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থল থেকে ছুড়ি, বটি, মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। ভিকটিমের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয় “
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান ওসি।