রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়া মোড়। ঘড়ির কাটায় রাত তখন রবিবার (২৩ এপ্রিল) রাত পৌনে নয়টা। রামপুরা থেকে মালিবাগের পথে আসছিল একটি কালো প্রাইভেটকার। পথিমধ্যে বেপোরায়াভাবে একটি মোটরসাইকেল ও একটি রিকশাকে সজোরে ধাক্কা দেয় সেটি। আশেপাশের লোকজন গাড়িটি থামতে বললেও সেটি না থেমে এগোতে থাকে। তবে চৌধুরীপাড়া মোড়ে এসে যানজটের কারণে সেটি আটকা পড়ে।
এ সময় পেছন থেকে অনেকেই জোরে বলতে থাকেন “গাড়িটিকে আটকান, ড্রাইভারকে ধরুন'। গাড়িটিকে আটকানো হয়। তখন গাড়ির মধ্যে চুপচাপ বসে ছিলেন তরুণ চালক। পরে দেখা যায় তার পাশের আসনের পা রাখার জায়গায় অচেতন হয়ে পড়ে আছেন এক তরুণী। সেই তরুণীর কোনো সাড়াশব্দ নেই।
আশেপাশের লোকজন তখন চালকের কাছে ওই তরুণীর অচেতন হওয়ার কারণ জানতে চান। তবে তিনি উত্তর না দিয়ে ওই তরুণ মেয়েটির মুখ ঝাঁকিয়ে বারবার বলতে থাকেন, “জান গেট আপ প্লিজ। জান গেট আপ।” বারবারই তিনি মেয়েটির মুখ ধরে ওঠানোর চেষ্টা করছিলেন। প্রতিবার একই কথা বলছিলেন। কিন্তু মেয়েটির কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর মধ্যে একসময় পুলিশ সেখানে চলে আসে। মেয়েটিকে বের করে হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি গাড়িসহ চালককে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
পুলিশের খিলগাঁও অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার রাশেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ওই তরুণ-তরুণীর নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
উপকমিশনার রাশেদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে বলেন, “আমরা ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কিন্তু সে অ্যাবনরমাল আচরণ করছে। একই অবস্থা মেয়েটির। কী হয়েছিল, কেন ছেলেটি পালাতে চাচ্ছিল, সেটা এখনো জানা যায়নি। তাদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। স্বজনেরা এলে দুজনকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
ওই তরুণীর কী হয়েছিল, সে প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “কী হয়েছে, তা ডাক্তাররা ভালো বলতে পারবেন। আমরা এখনো ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি।”