ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালে ৪২ চাকার লরির ভারে স্টিলের সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ৩০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে লরির অজ্ঞাতনামা চালককে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ভালুকা সড়ক ও জনপথের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হালিম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বিষয়টি ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “২৬ এপ্রিল বিকেলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে এনার্জি প্যাকের ট্রান্সফরমারবাহী ৪২ চাকার একটি লরি ময়মনসিংহের কেওয়াটখালি পাওয়ার গ্রিডে যাচ্ছিল। লরিটি ত্রিশালের চেলের ঘাট এলাকার স্টিলের সেতুর উপরে উঠতেই সেতুর মাঝখানের পাটাতন ভেঙে নিচে পড়ে যায়। একইসঙ্গে সেতুর উপর থাকা একটি প্রাইভেট কারও নিচে পড়ে। এতে কারে থাকা পাঁচজনের তিনজন আহত হন।
সেতুটি ভেঙে পড়ায় সরকারের আনুমানিক ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
ওই মামলায় আরও উল্লেখ্য করা হয়, আইন অনুযায়ী মহাসড়কের ওপর দিয়ে ৪০ টন ওজনের গাড়ি চলাচলের অনুমোদন রয়েছে। তবে, লরির চালক সড়ক পরিবহনের কোনো আইন না মেনে ও সড়ক বিভাগের কোনো অনুমতি না নিয়ে ১২০ টন ওজনের ট্রান্সফরমার নিয়ে সেতু পার হওয়ায় সেটি ভেঙে পড়ে। এতে সরকারি সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং জন দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে।
ওসি মাইন উদ্দিন আরও বলেন, “আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে। ট্রান্সফরমারটি এনার্জি প্যাক কোম্পানির। এটি নগরীর কেওয়াটখালী পাওয়ার গ্রিডে যাচ্ছিল।”
ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শওকত আলী বলেন, “ট্রান্সফরমার ও লরিটি এখান থেকে সরাতে বড় ক্রেনের প্রয়োজন হবে। এতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। এগুলো অপসারণ করার পর দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হবে। এছাড়াও এখানে একটি নতুন একটি ব্রিজ করার আবেদন করবো। তবে, ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি দেখে গেছেন। তারাও দ্রুতই একটি সিদ্ধান্ত দেবেন বলে আশা করছি।”
তবে, এ বিষয়ে এনার্জি প্যাকের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।