র্যাব পরিচয়ে তল্লাশির নামে ছিনতাইয়ের সময় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় মোস্তফা কামাল (৩১) নামে এক পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে আটক করে এক সহযোগীসহ তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে উপজেলার চাপাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
অভিযুক্ত আবু হেনা মোস্তফা কামাল রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) দামকুড়া থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আলীনগর গ্রামে। তার সহযোগী মো. রাব্বীর (২৭) বাড়ি রাজশাহী নগরীর ভাটাপাড়া আপেল ডেকোরেটর মোড় এলাকায়।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাপাল এলাকায় বুলবুল আহম্মেদ (২৪) নামে এক তরুণকে তল্লাশি করছিলেন আবু হেনা ও রাব্বী। তল্লাশির নামে তারা বুলবুলের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বুলবুল তাদের পরিচয় জানতে চান।
জবাবে আবু হেনা নিজেকে “র্যাবের লোক” বলে দাবি করেন। ভুক্তভোগী বুলবুল পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে অভিযুক্তরা তাকে মারধর শুরু করেন। ভুক্তভোগী তরুণের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে অভিযুক্তদের আটকে রাখেন।
বিষয়টি র্যাব-৫ এবং গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে জানানো হয়। দুই বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত আবু হেনা মোস্তফা কামাল নিজেকে পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে পরিচয় দেন।
ঘটনাস্থল থেকে মোস্তফা কামাল ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব-৫ সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে অভিযুক্তদের গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়। রবিবার সকালে র্যাবের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। দুপুরে আসামিদের আদালতে তোলা হয়।
র্যাব-৫ রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই চাপালে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। র্যাবের মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপি মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম বলেন, “এ ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকে বিভাগীয় মামলাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”