Friday, March 28, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

উচ্চ জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতে সেন্টমার্টিন-কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চল

‘মোখা’ আঘাত হানার সময় বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় ২ থেকে ২.৫ মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে

আপডেট : ১৩ মে ২০২৩, ০৪:০০ পিএম

বঙ্গোপসাগরের মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্বে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় “মোখা” ১৩ কিলোমিটার গতিতে উত্তর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে, ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের ১০ নম্বর বুলেটিনে বলা হয়েছে, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি খুব সম্ভবত কক্সবাজার ও মিয়ানমারের সিত্তের কাছে কিয়াকপিউ শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যেতে পারে। সে সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ১৫০-১৬০ কিলোমিটার।

বঙ্গোপসাগরের মধ্য ও দক্ষিণপূর্ব অংশ এবং আন্দামান সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। “মোখা” ভূমিতে আঘাত হানার সময় বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্ব ও মিয়ানমারের উত্তর উপকূলে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় ২ থেকে ২.৫ মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

কক্সবাজার ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানিয়েছে, মোখার প্রভাবে উচ্চ জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতে রয়েছে সেন্টমার্টিনসহ কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চল। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ।

ঝুঁকি ও ক্ষতি নিরসনে সেন্টমার্টিনসহ উপকূলীয় অঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। উপকূল অতিক্রমের সময়ও শক্তি কমবে না অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার। ফলে পূর্ণ শক্তি নিয়েই এটি বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।

তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি দিয়ে অতিক্রম করবে, তাই দ্বীপটির ওপর এর প্রভাব বেশি পড়বে।

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, “সেন্টমার্টিন দ্বীপ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। দ্বীপটি অতিক্রমের সময় ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটারের বেশি থাকতে পারে। ফলে সেন্টমার্টিনে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ অতিক্রম করতে মোখার প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগবে। এই সময় সেখানে উচ্চ জলোচ্ছ্বাস থাকবে। সেজন্য সেখানকার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়াটাই সবচেয়ে ভালো উদ্যোগ হবে।”

সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়। ইতোমধ্যে সেন্টমার্টিনে ৫ টন চাল, ১ লাখ টাকা ও ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

   

About

Popular Links

x