যমুনা নদীতে রাইফেল হারিয়েছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার এক পুলিশ কনস্টেবল। অবৈধ ড্রেজার উচ্ছেদে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে সংযুক্ত ছিলেন তিনি। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন দৌলতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়ন কাশীদয়ারামপুর গ্রামের যমুনা নদীতে অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সেখানকার অবৈধ ড্রেজারের মালিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাচ্চু মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে যমুনায় বেশ কয়েকটি খনন যন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলে আসছিলেন। এ কারণে ওই এলাকা ভাঙনের মুখে পড়ে। এ নিয়ে গণমাধ্যম সরব হলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অর্ণব মালাকার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ড্রেজার মেশিন জব্দ করতে যান। এ সময় দৌলতপুর থানার পুলিশ কনস্টেবল মো.আল আমিনের সঙ্গে থাকা রাইফেলটি যমুনা নদীতে পড়ে যায়।
বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনেক খোঁজাখুঁজি করে রাইফেলটি পাওয়া যায়নি। আগ্নেয়াস্ত্রটি সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্যও দেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত নদী থেকে বাচ্চু মিয়ার অবৈধ ড্রেজার জব্দ করেছে। কিন্তু এ সময় হারিয়ে যাওয়া পুলিশের রাইফেলটি যমুনার তীব্র স্রোতের কারণে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রাইফেলটি উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।”
এ বিষয়ে আরিচা স্থল কাম নদী ফায়ার স্টেশনের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মো.মুজিবর রহমান বলেন, “দুপুরের দিকে পুলিশের রাইফেল উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল কাজ শুরু করেছে।”
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দায়িত্বে থাকা দৌলতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অর্ণব মালাকার।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, “সরকারি কাজে গিয়ে রাইফেলটি নদীতে পড়ে গেছে। স্থানীয়ভাবে এবং ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে অস্ত্রটি খোঁজা হচ্ছে। নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় এখনও পাওয়া যায়নি।”