চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় “পারিবারিক মনোমালিন্যের” পর তিন সন্তানের মাকে হত্যা করে তা “আত্মহত্যা” বলে প্রচারের ঘটনায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রিমান্ডে “আত্মহত্যার কথা মিথ্যা” বলে স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার কাজী সাহেদুজ্জামান রিমন (৩৫)।
সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে লক্ষ্মীপুরে কবর থেকে মরদেহ তুলে তা রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার কাজী সাহেদুজ্জামান রিমন বর্তমানে ৪ দিনের রিমান্ডে আছেন।
তিনি বলেন, “পোশাক কারখানায় কাজের সুবাদে ১১ বছর আগে আসমা আক্তারের (২৬) সঙ্গে রিমনের প্রেমের সম্পর্ক ও পরে বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। তারা পতেঙ্গার খেজুরতলা এলাকায় থাকতেন। ১০ জুন আসমার বাবাকে ফোন করে রিমন জানান, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আসমার বাবা শহরে তার আরেক মেয়েকে ফোন দিয়ে সেখানে যেতে বলেন। আসমার বোন রোকেয়াকে বলা হয় মরদেহ তাড়াতাড়ি কবর দিতে হবে। এরপর তিনি মরদেহ নিয়ে লক্ষ্মীপুর রওনা দেন।”
ওসি জানান, অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার পর রিমন তার মুঠোফোন বন্ধ করে দিলে পরিবারের সন্দেহ হয়। যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে ১২ জুন আসমার পরিবার থানায় অভিযোগ দেয়। প্রযুক্তির সহায়তায় ১৪ জুন রিমনকে নগরীর ইপিজেড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি আসমার আত্মহত্যার ঘটনাটি “মিথ্যা” বলে স্বীকার করেন। ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে পুলিশ কবর থেকে মরদেহ তোলে।
আলামত হিসেবে একটি বটি ও কয়েক টুকরো রশি জব্দ করেছে পুলিশ।