শরীয়তপুর পৌর শহরে বৃষ্টিতে ভিজে টিকটকের জন্য ভিডিও বানাতে গিয়ে বজ্রাঘাতে আহত হয়েছেন মেঘলা (২৫) নামে এক তরুণী। তিনি শরীয়তপুর ইসলামী চক্ষু হাসপাতালের কর্মী। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেলে পৌর শহর সংলগ্ন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ছাদে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন একই হাসপাতালের অভ্যর্থনা কর্মী ইয়াসমিন আক্তার (২১)।
ইতোমধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন ইয়াসমিন আক্তার। অসুস্থ অবস্থায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন মেঘলা। বজ্রাঘাতে আহত হওয়ার ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, আহত মেঘলা শরীয়তপুর সদরের চিতলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং ইয়াসমিন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাসিন্দা। ইয়াসমিন ভয় পেলেও বজ্রাঘাতের কবলে পড়েননি।
ইয়াসমিন বলেন, “বৃষ্টি এলে আমরা দুইজন ছাদে ভিজতে যাই। একপর্যায়ে মেঘলা আমাকে ভিডিও করতে বললে আমি ভিডিও করা শুরু করি। ভিডিও করার সময় দুর্ঘটনা ঘটে।”
চক্ষু হাসপাতালটির চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “বৃষ্টিতে ভিজে ভিডিও বানাতে গিয়ে বজ্রাঘাতে হাসপাতালের দুই স্টাফ আহত হয়েছেন। একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। আরেকজনকে নিয়ে আমরা সদর হাসপাতালে আছি। চিকিৎসক আশ্বাস দিয়েছেন, বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।”
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, “প্রায়ই বজ্রাঘাতে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। তবুও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। সবাইকে আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন।”
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে উপজেলার পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে।”