ঈদের ছুটিতে যারা ঢাকার বাইরে যাবেন, তাদের ঘরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র নিরাপদ স্থানে রেখে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ফাঁকা ঢাকাতে যাতে চুরি ডাকাতি না হয় সে জন্য ব্যবস্থা নেবো। ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ, আপনারা যখন চার পাঁচ দিনের জন্য বাসা ফাঁকা রেখে বাড়িঘরে যাবেন, তখন দয়া করে মূল্যবান বস্তু অর্থাৎ নগদ টাকা এবং গয়না খালি বাসায় না রেখে ব্যাংকে রাখেন বা নিকট আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধব বা যারা থাকবেন তাদের কাছে জমা রেখে যাবেন। ফাঁকা বাসায় কোনও দুষ্কৃতকারী যদি ঢুকে তাহলে মূল্যবান বস্তু চুরির ভয় থাকবে না।”
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি সদর দপ্তরে ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার জানান, ঈদের সময় ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় তিন স্তরে নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে সজাগ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি পোশাকশ্রমিকদের বেতন-বোনাস ঈদের আগেই পরিশোধ করতে কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। বেতন-বোনাসকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানোর সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সজাগ থাকার নির্দেশনা দেন।
ডিএমপি প্রধান বলেন, “সড়কের ওপর গরুর হাট যেন বসতে না পারে, সে জন্য কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এসব বিষয়ে নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গরুর হাট কিংবা অন্যান্য কেনাকাটায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভোগান্তি এড়াতে প্রতিটি হাটে থাকবে জালনোট শনাক্তকরণের মেশিন। হাটের নিরাপত্তায় সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও জানানো হয়েছে।”
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “পশুর হাটে ইজারাদাররা গরু নিয়ে টানাটানি করতে পারবে না। কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”