রাজধানীর সবাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়াও রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশেপাশের এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি বলে এক জরিপে উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে দেশে চলমান ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রি-মনসুন সার্ভের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। জরিপের তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তথ্য বলছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৪০টি এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫৮টি ওয়ার্ডে সর্বমোট ৩,১৪৯টি বাড়িতে জরিপ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪৯টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
অধ্যাপক নাজমুল বলেন, “এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পদ্ধতি হচ্ছে ‘ব্রুটো ইনডেক্স'। এই মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০% বা এর বেশি হওয়া মানেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সার্ভেতে দেখা গেছে, ডিএনসিসির ২৭টি ওয়ার্ডে এবং ডিএনসিসির ২৮টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে।”
প্রাক মৌসুম জরিপের তথ্য বলছে, ঢাকা উত্তর সিটির ২, ৩, ৫, ৬, ১০, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৫, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৯, ১১, ১২, ১৩, ১৫, ১৬, ১৮, ১৯, ২২, ২৩, ২৬, ৩৩, ৩৪, ৩৬, ৪১, ৪৪, ৪৬, ৪৮, ৫০, ৫১, ৫৪, ৫৫, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ওয়ার্ডে লার্ভার ঘনত্ব বেশি।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল বলেন, “দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকা একই ঝুঁকির মধ্যে আছে। সামগ্রিকভাবে পুরো ঢাকা শহরে যেখানেই বৃষ্টির পানি জমে থাকার সুযোগ পেয়েছে সেখানেই এডিস মশার লার্ভা হয়েছে।”
জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, আইইডিসি আর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশারসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকরা।