সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের নেতারা। তারা বলছেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় এখন নয়। এটি সরকারের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এছাড়া এসব সেবার দাম বাড়ানো হবে কি-না, সেই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে আসতে হবে, আমলাদের থেকে নয়।
শনিবার (২১ মে) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি জসীম উদ্দিন বলেন, “কুইক রেন্টালের একসময় প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন আর প্রয়োজন নেই। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা উচিত। একইসঙ্গে অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করা উচিত। গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে। সরকার সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। সরকারের ভুল পরিকল্পনার খেসারত শিল্প খাত বহন করতে পারে না।”
তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হবে সরকারের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। দাম না বাড়িয়ে এখন সরকারের উচিত হবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের আমূল সংস্কার আনা। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা। বিদ্যুতের অতিরিক্ত উৎপাদন বন্ধ করে অহেতুক খরচ কমিয়ে আনা।”
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার উল আলম বলেন, “দেশে এখন ডলার–সংকট চলছে। ইউক্রেন–রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। এখন যদি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়, উৎপাদন খরচ বাড়বে, যার প্রভাব পড়বে ভোক্তার ওপর। এখন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় নয়।”
বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “রপ্তানি খাত যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তখন গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হবে ভয়াবহ। প্রতিযোগী দেশের চেয়ে পিছিয়ে যাবে বাংলাদেশ।”
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ালে মূল্যস্ফীতি বাড়বে, যার ফলে জনজীবনে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।