বরগুনার পাথরঘাটায় হাতেমপুর এলাকায় বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বে ছেলের মারধরে নিরঞ্জন শীল (৫৬) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নেপালচন্দ্র শীলকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল ১০টার দিকে বাবার মৃত্যু হলে দুপুরে অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত নিরঞ্জনের স্ত্রী রাধা রানীর অভিযোগ, এ ঘটনায় নিরঞ্জনের সৎ বোন বিউটি ও তার স্বামী প্রকাশের সম্পৃক্ততা আছে। জমি নিয়ে বিউটির সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল আমাদের। এরই জের ধরে বিউটি ও তার স্বামী প্রকাশ নেপাল শীলকে বিয়ের জন্য উৎসাহিত করে এবং মেয়ে পছন্দ করায়। এ বিয়ের জন্য পাত্রীর নামে জমি লিখে দিতে হবে বলে জানায় বিউটি। নিরঞ্জন জমি দিতে রাজি না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাতে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে সকালে নেপালচন্দ্র শীল তার বাবাকে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা নিরঞ্জন শীলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।