ঢাকার সাভারে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে হত্যার ঘটনায় আসামি আশরাফুল ইসলাম জিতুর পর তার ‘প্রেমিকা’কে বহিষ্কার করেছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২ জুলাই) আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুছ আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান (আসামি জিতু ও তার ‘প্রেমিকা’ একই প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ৩০ জুন কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানান অধ্যক্ষ। এর আগে, স্কুল থেকে জিতুর স্থায়ী বহিষ্কারের তথ্য পাওয়া গেলেও তার ‘প্রেমিকা’র সাময়িক বহিষ্কারের তথ্য মেলে আজ।
অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুন অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্ট্যাম্প দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করা হলে পরদিন তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পুলিশি তদন্ত ও আসামির জবানবন্দিতে তার ‘প্রেমিকার’ সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এই মুহূর্তে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ও প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রীকে প্রতিষ্ঠান থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
হাজী ইউনুছ আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান জানান, শুক্রবার (১ জুলাই) কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলেরর সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রধান আসামি জিতুকে স্কুল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। যেহেতু জিতুর প্রেমিকাকে নিয়ে ঘটনা তাই তাকেও (প্রেমিকা) সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্তে ওই মেয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেলে তাকেও স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে। শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি আশরাফুল ইসলাম জিতু জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের কাছে তার প্রেমিকাকে হিরোইজম দেখাতেই শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে সবার সামনে পিটিয়ে আহত করার কথা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, দিনেদুপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরেই শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম জিতুকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জিতু ‘প্রেমিকাকে হিরোইজম’ দেখাতেই তার শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে সবার সামনে পিটিয়ে আহত করার কথা স্বীকার করেছেন।